যুদ্ধ থেমেছে-ঠিক আছে, তবে এই মৃত্যুর কোনো সান্ত্বনা নেই: জয়া

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ০৯:৪৯ |  আপডেট  : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১

১৯ মে ইসরায়েলের বোমা হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জয়া পোস্ট করেন। গতকাল থেকে চলছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধ থামার স্বস্তির দিনেও জয়ার গলায় মাছের কাঁটার মতো আটকে রয়েছে যুদ্ধের হাহাকার। যুদ্ধ থামার দিনেও তাই তিনি বললেন, ‘যুদ্ধ থেমেছে, ঠিক আছে। কিন্তু যারা মারা গেল, সেই মৃত্যুর কোনো সান্ত্বনা নেই।’

জয়া আরও বলেন, ‘একটা সরকারের সঙ্গে আরেকটা সরকারের সংঘাত থাকতে পারে। একটা কাঠামোর সঙ্গে আরেকটা কাঠামোর বিবাদ থাকতে পারে। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মতবিরোধ হতে পারে। কিন্তু একটা দেশের সাধারণ মানুষ সব সময়ই নিরপরাধ। তারা কেন হতাহতের শিকার হবে? বাস্তুহারা হবে? মারা যাবে? সব সময়ই যুদ্ধের চেয়ে একটা ভালো কার্যকর বিকল্প উপায় থাকে। আমি সর্বাবস্থায় যুদ্ধবিরোধী। কোনো অবস্থায় আমি যুদ্ধ চাই না।’

এর আগে জয়া ইসরায়েলের আক্রমণে ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। দেখছি আর মনে হচ্ছে নরকের অতলে নেমে যাচ্ছি। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে যাওয়া বাড়িঘর। তার ওপরে ভাসছে পাকখাওয়া আগুন, আর সারিবাঁধা তরতাজা লাশ। একটু আগেই তারা হাসছিল, খাচ্ছিল, শিশুটি নিচ্ছিল মায়ের আদর। যারা বেঁচে আছে, তারা রক্তমাখা। আগুনের লেলিহান শিখার নিচে ছুটোছুটি করছে। ধ্বংসস্তূপের ঝাঁঝরা ইট সরিয়ে সরিয়ে তারা বের করে আনছে চাপা পড়ে থাকা শিশুদের। ওই কচি বাচ্চাগুলো ডুবে ছিল আলো-বাতাসহীন বিভীষিকার তলায়। এ কোন নরক এই পৃথিবীতে! তাদের অসহায়তা আর হাহাকারে কণ্ঠ বুজে আসে।’

যুদ্ধবিরতি প্রার্থনা করে জয়া আরও লিখেছিলেন, ‘এই যুদ্ধ থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুরগাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের একচিলতে ঘরে ফিরুক। একজীবনে কি এটা খুব বড় প্রত্যাশা?’ জয়ার সেই প্রত্যাশা আজ পূরণ হয়েছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত দুইটায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ১১ দিনের সহিংসতার অবসান ঘটল।

বাংলাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও বিনোদন তারকাদের মতো জয়া আহসানও ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বোমা হামলার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের দূতাবাসের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশ থেকে অর্থ আর প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহ করা হয়েছে। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আল–আকসা মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের মসজিদটিতে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা এ হামলার শিকার হন। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত