যাঁরা রাস্তায় শুটিং করছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের কাছে শিল্পীর ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না: মামুনুর রশীদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২১, ১০:৩৭ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৭

কঠোর লকডাউনে কিছু শুটিং ইউনিট রাস্তায় শুটিংয়ের চেষ্টা করেছেন। সেই নির্মাতাদের উদ্দেশে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনসের (এফটিপিও) নেতারা বলেছেন,  কঠোর লকডাউনের এমন পরিস্থিতিতে আপনারা শুটিং বাড়ির বাইরে শুটিং করবেন না। রাস্তাঘাটে শুটিং করলে রাষ্ট্রের কাছে শিল্পী ও কলাকুশলীদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। যাঁরা রাস্তায় শুটিং করছেন, তাঁরা রাষ্ট্রের কাছে শিল্পী ও কলাকুশলীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। 

এফটিপিওর চেয়ারম্যান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঈদ অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য এফটিপিও কর্তৃপক্ষ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে শুটিংয়ের অনুমতি নিয়েছে। এই শর্তের মধ্যে ছিল স্বল্প পরিসরে শুটিং বাড়ির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা। আমরা খবর পেয়েছি, অল্পসংখ্যক নির্মাতা কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে উন্মুক্ত স্থানে শুটিং করছেন। তাঁদের অবিলম্বে ইনডোরে শুটিং করতে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার যেখানে করোনা রোধে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে, সেখানে এমন কর্মকাণ্ডে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে শিল্পী–কলাকুশলীদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই, সবাই নিয়ম মেনে শুটিং করুক।’

কঠোর লকডাউনে নতুন করে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করতে নিরুৎসাহিত করছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু। ঈদ নাটকের জন্য যেসব নির্মাতা ইতিমধ্যে টেলিভিশন চ্যানেল থেকে ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন এবং যাঁদের কাজগুলো জরুরি, তাঁরাই নিয়ম মেনে শুটিং করতে পারবেন। সালাউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমরা সংগঠন থেকে উত্তরা ও পুবাইলে নিয়মিত খবর নিচ্ছি, কেউ যেন শুটিং বাড়ির বাইরে শুটিং না করে। উত্তরার শুটিং বাড়িগুলোর মালিককে বলা আছে, শুটিং বাড়ির গেট লক করে শুটিং করতে হবে। পুবাইলেও (গাজিপুরের পুবাইল শুটিং গ্রাম) রাস্তায় শুটিং করা যাবে না। মানুষ রাস্তায় শুটিং করা দেখলে বিরূপ মন্তব্য করবে। এভাবে শুটিং চললে শিল্পী ও শুটিংয়ের সঙ্গে জড়িত মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা উঠে যাবে।’

চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশিসহ একাধিক অভিনয়শিল্পী কঠোর নিয়ম মেনে পুবাইলে শুটিং করছেন। একদিকে কঠোর লকডাউন। অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য শুটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটছে। পুবাইলের একটি শুটিং বাড়ি থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নির্মাতা বলেন, ‘ঈদের জন্য ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছি। আগে থেকেই চ্যানেল প্রি-প্রোডাকশনের জন্য টাকা দিয়েছিল। প্রায় ৪০ শতাংশ টাকা আগেই খরচ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে শুটিং করতে হচ্ছে। আমাদের ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে বলা হয়েছে, গল্পে শুটিং বাড়ির বাইরে কোনো অংশ চিত্রনাট্যে থাকা যাবে না। আমরা বাইরের রাস্তাঘাটের দৃশ্যগুলো বাড়ির ভেতরে শুটিং করছি।’

শুটিং বাড়ি সূত্রে জানা যায়, পুবাইলের ভাদুন গ্রামে শুধু শিকদার ও শামীম জামানের বাড়িতে শুটিং চলছে। বেশির ভাগ বাড়িতে শুটিংয়ের কথা থাকলেও স্থগিত হয়েছে। এদিকে ঢাকার উত্তরা শুটিং বাড়ি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, ‘আমরা শুটিং–সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রশাসনের নিয়ম মেনে শুটিং করতে দিচ্ছি। যাঁরা টেলিভিশন থেকে এনওসি দেখাতে পারছেন, তাঁরাই শুটিং করছেন। শুটিংয়ের লোক প্রবেশ করার পর ভেতর থেকে বাড়ি তালা দেওয়া থাকছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। এ ছাড়া রাস্তা ও শুটিং বাড়ির ছাদে কোনো শুটিং করা যাবে না। সর্বোচ্চ নিয়ম মেনে শুটিং চলছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে উত্তরা থেকে এক অভিনেতা জানান, শুটিং ইউনিট সম্পর্কে নির্মাতার পক্ষ থেকে কিছু বলা নিষেধ। এ ছাড়া শুটিংয়ের কোনো ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত