‘যথেষ্ট বোকা’ কাউকে পেলেই টুইটারের সিইও পদ ছাড়বেন ইলন মাস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৬ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৩
ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন, তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) মাস্ক তার টুইটারে এ কথা জানান। কানাডা টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে টুইটার ব্যবহারকারীদের মতামত নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন ইলন মাস্ক। গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ব্যবহারকারীরা ভোট দিয়েছেন যে তারা ইলন মাস্ককে কোম্পানির সিইও হিসাবে চান না।
এর আগে ইলন মাস্ক টুইটার ব্যবহারকারীদের ভোটের ভিত্তিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর সোমবার এক টুইট পোস্টে তিনি জানতে চান সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না। এ সময় তিনি জনমত জরিপের ফলাফল মেনে নেবেন বলেও ঘোষণা দেন।
ইলন মাস্কের টুইটার হ্যান্ডেলে ১২.২ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। তার মধ্যে ওই জরিপে ১ কোটি ৭৫ লাখ ভোট পড়েছে। ৫৭.৫ শতাংশ টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, ইলন মাস্কের সিইও পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। এবং ৪২.৫ শতাংশ ব্যবহারকারী চান তিনি এই পদে থাকুন।
আজ টুইটারে দেওয়া ওই বার্তায় মাস্ক লিখেছেন, 'সিইও পদে চাকরি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট বোকা কাউকে পেলেই তিনি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। টুইটারে তাঁর জায়গায় নতুন লোক খুঁজে পাওয়ার পর তিনি কেবল সফটওয়্যার এবং সার্ভার টিম পরিচালনা করবেন।'
টুইটার ছাড়াও তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি জায়ান্ট টেসলা ও স্পেসএক্স পরিচালনা করেন। ইলন মাস্ক গত অক্টোবরের শেষে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনেছিলেন। 'সিইও পদে চাকরি নেওয়ার জন্য যথেষ্ট বোকা কাউকে পেলেই তিনি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
এরপর তিনি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিভিন্ন পরিবর্তন করায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। ইলন মাস্ক শুধু টুইটারের প্রধানই নন, তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, মহাকাশযান নির্মাতা স্পেসএক্সের প্রধানও।
তবে সম্প্রতি তিনি টুইটার কিনেছেন। গত ২৭ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার পর বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মালিকানা নেওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
সম্প্রতি তাকে নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। তবে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থার সমালোচনার মুখে তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যেই তার গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দাম কমছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত