যতটুকু সময় পাবো, সংস্কারটাই করে দিয়ে যাব : আদিলুর
প্রকাশ: ৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৪ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫১
দেশের প্রতিটি সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে অনেক কথা-বার্তা বিভিন্ন দিক থেকে বলা হচ্ছে। তবে সংস্কারের কার্যক্রম আমাদের চলমান আছে। আমরা যতটুকু সময় পাবো, শুধু এই সংস্কারটাই করে দিয়ে যাব।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর রাজউক অডিটরিয়ামে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ মিজ গোয়েন লুইসসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।
আদিলুর রহমান বলেন, দেশে এখন ব্যাপক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সময় পাবো সংস্কারটা শুধু করে দিয়ে যাব। এই সংস্কারে রাজউকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোতে এখনও অনেক অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা ও অসংখ্য কোটা বিদ্যমান রয়েছে। একেকজন এসে বলছে, এই কোটার কারণে আমরা এতগুলো পদ নেব, অন্যপক্ষ বলছে এই কোটায় আমার আরও বেশি লাগবে। আমি বলি যে, আর কেন এসব কোটা লাগবে? এগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন না কেন? সমস্ত কোটা উঠিয়ে দিয়ে ঢাকা শহরের লটারির মাধ্যমে কেন জমি দেওয়া হয় না? এই ফ্যাসিলিটি গুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, যেখানেই অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা ও কোটা থাকবে, সেখানেই তরুণদের এগিয়ে আসার পথ তৈরি করে দিতে হবে। কিন্তু আমরা তো এই দরজাটা বন্ধ করে রাখি, যেন তারা আসতে না পারে। আমরা মনে করি, এই দরজাগুলো বাংলাদেশের মানুষ ও তরুণদের জন্য খুলে দিতে হবে। তাহলেই একটি কাঙিক্ষত সংস্কার দেশের মানুষ পাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে হাজার হাজার মানবাধিকার কর্মী তৈরি হয়েছে, যারা দেশকে বদলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। আমাদেরকে পাশে দাঁড়ানো দরকার এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে এই সময়টাকে বদলে দেওয়া দরকার। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন আছে, নাগরিকদের প্রতিষ্ঠান এবং প্রফেশনাল বডি আছে, সেগুলোকেও নগর উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা এই ঢাকা শহরটাকেও বদলে দিতে চাই। কিন্তু যেদিকেই তাকাবেন, দেখবেন শহরটা কতো নোংরা হয়ে আছে। ঢাকা শহরে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কোনো গাছ নেই। সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঢাকা শহর শুধু কংক্রিটের শহর হয়ে গেছে। এখানে গরিবের আবাসনের ব্যবস্থাটাও নাই। এই শহরটাকে আমরা বদলে দিতে পারব কিনা, এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা যদি তরুণদের সম্পৃক্ত করে নগর উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে চাই, তাহলে এটা এখনই শুরু করা দরকার। কারণ পরে করতে গেলে হয়তো অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত