মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জোর করে বসত ঘড় ভেঙ্গে নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৩১ | আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ছৈয়দ জানে আলমের বাড়ি থেকে ২টি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়াসহ চার পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছৈয়দ জানে আলম বাদী হয়ে এরশাদ ঢালী(৪০),মোঃ মামুন ঢালী, কামাল মোল্লা (৩৬),সাইফুল ঢালী (২৬),মজিবর ঢালী(৫৫)কাউসার (৪৫) ওরমিজ (২৭)সহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দন ধূল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দন ধুল গ্রামের মৃত সৈয়দ আহম্মদের ছেলে সৈয়দ জানে আলম ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধুল মৌজার আর.এস দাগ নং-২৯১,২৯২ ও ২৯৩ দাগের ৭০ শতাংশ জায়গা বোগ দখল করে আসছিলো ২০৩৪/২০১০ মামলার হাইকোটের আদেশ অনুযায়ী এই সম্পত্তিতে স্থায়ী স্টে অর্ডার করা হয়। ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় একই গ্রামের মৃত খালেক ঢালির ছেলে এরশাদ ঢালী (৪০), মৃত ইউনুস ঢালীর ছেলে মোঃ মামুন ঢালী (৪৫), মোহাম্মদ তাজেল ঢালীর ছেলে সাইফুল ঢালী (২৬), মৃত বাবুল ঢালীর ছেলে কামাল মোল্লা (৩৫), মৃত ইছব ঢালীর ছেলে মজিবর ঢালী (৫৫), মৃত জমির ঢালির ছেলে কাউসার(৪৫), মৃত বাবুল ঢালীর ছেলে রমিজ (২৭) দখল করার পায়তারা করে আসছিলো।
যার পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দ জানে আলমের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি গত ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর একটি নন এফআইআর মামলা অভিযোগ করেন। সেটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের সমন জারি করেন। সেই সমন জারির জের ধরে গত ২০২২ সালের ২৪শে নভেম্বর আনুমানিক দুপুর তিনটার দিকে বিবাদীরা সৈয়দ জানে আলমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে সৈয়দ জানে আলমের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ভাংচুর করে ও সেখানে থাকা সৈয়দ জানে আলমের অন্তসত্ত্বা ভাগ্নীকে মারধর করে। ভাগ্নির ডাক চিৎকারে সৈয়দ জানে আলম এর বোন ফনি বেগম সেখানে গেলে তাকে এবং ফনি বেগমের ছেলে নাঈম মিয়া সেখানে গেলে তাকে সহ মারধর করা হয়।
সরেজমিনে দেখাযায় সৈয়দ জানে আলমদের ১২৩ বছর পুরোনো একটি দরগাহ রয়েছে। সেই শতবর্ষী দরগায় ও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে তাদের ওরস অনুষ্ঠিত হতো প্রতিবছর। কিন্তু এই বিরোধের জেরে তারা এখন বাড়ী ছাড়া হওয়ার কারনে সেটিও বন্ধ আছে। ছৈয়দ জানে আলম বলেন,আমাদের সাথে বিবাদীদের আগে থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ায় তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। এর আগেও একবার হামলা করেছিলো আদালতে তারা মুচলেকা দিয়ে আসার পরেও আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি এখন বাড়ী ছাড়া। আমার বাড়ীতে আমিই প্রবেশ করতে পারছিনা,আমরা আমাদের বাড়িতে থাকতে চাই তারা আমাদের ঘড় বাড়ি জোড় করে ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন আমরা যেনো এর একটি সুষ্ঠু বিচার পাই।
তারা আমাদের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে দুইটি ও হাই কোর্টে একটি মামলা করে। যার দুইটির রায় এবং ডিক্রি আমরা পেয়েছি আরেকটি মামলা চলমান আছে। আমরা এর একটি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বিবাদী মামুন বলেন, তাদের এখানে কোন যায়গা জমি নেই। তাদের কেউ হামলা করে নাই। সেখানে যত যায়গা আছে তা মসজিদের নামে। গ্রাম বাসী মসজিদের নামে যায়গা দিয়েছে। জাহাঙ্গীরের বাবা এই মসজিদের ইমাম ছিলো তখন তাদের থাকতে দেয়া হয়েছিলো। এখনো বলা হয়েছে তাদের যদি কাগজপত্র থাকে তাহলে নিয়ে আসতে।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, অভিযোগ পেয়ে সেখানে এসআই মাজিবুল আলমকে পাঠিয়েছি। সেখানে গিয়ে ঘড় ভাংতে বাধা দিয়ে আসেন। ঘড় ভাংগার কিছু অংশ গাড়িতে করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত