মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন কৃষিমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৮ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ২২:২০

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবের তিনি একথা বলেন।

নিজের লোকজনকে বসানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আগুন দেওয়া হয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব; এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে; ৩০ লক্ষ মা-বোন আত্মাহুতি দিয়েছে। ২ লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে। তারপরও এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দেখেছি পাটের গুদামে আগুন দিয়েছে। বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। দেশকে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক দেশে এ রকম হয়। আমাদের দেশে গত ৫০ বছরে এরকম ঘটনা আমরা বহু দেখেছি। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে এক টানা ৯০ দিন হরতাল করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।


ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমি জিজ্ঞাসা করি, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছিল; সেই অগ্নি সন্ত্রাস কি এটার অংশ কিনা? সেই জবাব উনি দিয়ে তারপরে যেনো এই ধরনের প্রশ্ন তুলেন। আওয়ামী লীগ কোনোদিন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে না। আওয়ামী লীগ শান্তির রাজনীতি করে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর আমরা দেশ পরিচালনা করছি। একটা বিএনপির গায়েও আমরা হাত দেই নাই। কোনো জঙ্গিকে আমরা ঠাঁই দেই নাই। তাই এ ধরনের প্রশ্ন খুবই দুঃখজনক। এটা তীব্র নিন্দা জানাই।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক। আমি আশা করব এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য তিনি জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন। আর যদি না করেন তাহলে আমরা মনে করব অতীতে যেভাবে তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, ঠিক সেইভাবে এই ঘটনার সাথেও তারা জড়িত। দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য এমন মন্তব্য না করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান।

এর আগে গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে কৃষি মার্কেটের ডানদিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও পরে একে একে ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। একপর্যায়ে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে প্রায় ৪০০ দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মার্কেট ও কাঁচাবাজারে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৭০০-৮০০ দোকান ছিল।

তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেছেন, অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। সিটি করপোরেশন থেকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া ছিল ৩১৭টি। এরমধ্যে পুড়েছে ২১৭টি দোকান।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইনস্পেক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত