মাদারীপুরে ছাত্রলীগ নেতার নামে ধর্ষণ মামলা ঠুকে দিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী
প্রকাশ: ২১ মে ২০২১, ২০:০৮ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রেম করে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ষণ মামলা খেলেন এক ছাত্রলীগ নেতা। বুধবার মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মাদারীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক সাথি মাতুব্বর এ মামলা করেন তিতুমির কজেলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা মারুফসহ তিন জনের নামে। বৃহস্পতিবার রাতে আপোষ মিমাংশা করতে গেলে এ ঘটনা জানাজানি হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেইসবুক) মাদারীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক সাথি ইসলামের সাথে তিতুমির কজেলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মারুফের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরে সাথী তার স্বামিকে তালাক দেয়। সাথী ইসলাম কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রিনাথদি এলাকার মৃত জাফর মাতুব্বরের মেয়ে। মারুফ সদর উপজেলা পূর্ব পেয়ারপুরের মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে। ১৬ মার্চ সকালে সাথী বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক মারুফের বাসায় যায়। এসময় মারুফসহ মারুফের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীকে মারধোর করে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেয়।
সাথী মাতুব্বর বলেন, মারুফ আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে আমি আমার স্বামিকে তালাক দেই। এছাড়াও মারুফ আমাকে ঢাকা নিয়ে ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে করে। স্বামি স্ত্রী হিসেবে আমার বাসায় ও মারুফের ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় আমরা থেকেছি। এখন মারুফ আমাকে অস্বীকার করছে। মারুফ বলছে আমাদের কোন বিয়ে হয়নি। আমি মারুফের সাথে কথা বলতে ওর বাসা গেলে ওর মা ওর ছোট ভাই আর ও মিলে আমাকে খুব মারধোর করে। আমাকে মেরে স্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নেয়।
তবে মারুফের দাবী, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বিয়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। সাথি আমার মায়ের গায়ে আগে হাত তুলেছে তারপরে আমার ছোট ভাই একটা থাপ্পড় মেরেছে। সাথী একটা খারাপ মেয়ে ও আমাকে ব্লাকমেইল করছে। আমার জীবনটা ও নষ্ট করে দিচ্ছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান অনিক বলেন, কারো ব্যক্তিগত কুকর্মের দ্বায় ছাত্রলীগ নিবে না।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল মিয়াঁ বলেন, সাথী মাতুব্বর বাদি হয়ে মামলা করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত