মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগকারী পুলিশদের শাস্তি চায় ৭১.৫ শতাংশ মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪

বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ৭১.৫ শতাংশ মানুষ শাস্তি চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮.৮ শতাংশ মানুষ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮.২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।

জরিপে আরও দেখা গেছে, সভাসমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতিগ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সাথে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭.৪ শতাংশ। ১০.৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত। একটি বিষয় স্পষ্ট যে সংবিধানের ৩৭নং অনুচ্ছেদে সভা সমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬ এর ২৯নং ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরূপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১.২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান।

উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযোগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযোগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনযাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ তবে উত্তরদাতাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ। উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং ৭.১ শতাংশ উল্লেখযোগ্য। এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত