মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড পেতে টাকা দিয়েও ঘুরতে হচ্ছে অফিস সহায়কের পিছনে

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ৭ জুন ২০২১, ২০:৫২ |  আপডেট  : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭

বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কর্যালয়ের অফিস সহায়ক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দরিদ্র এক নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিয়েও কার্ড না পাওয়ায় সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের বড়আখিড়া গ্রামের ভুক্তভোগী সেতু বেগম। এসময় তিনি টাকা ফেরত ও তার বিচার দাবি করেন।

জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলায় ৩০০জন দুস্থ পরিবারে মাঝে মাতৃত্বকালীন ভাতার বরাদ্ধ হয়। সেই ভাতার আওতায় নাম তুলতে উপজেলার বড়আখিড়া গ্রামের শামীম হোসেনর স্ত্রী সেতু বেগম তার মামা শ্বশুড় আজিজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরে যান। সেখানে কথা হয় অফিস সহায়ক মশিউর রহমানের সাথে। তিনি মাতৃত্বকালীন ভাতা করে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছে থেকে ২ হাজার টাকা নেয়। ৩-৪ মাস পেরিয়ে গেলেও তারা ভাতার আশায় ওই অফিস সহায়কের পিছনে ঘুরতে থাকেন। কিন্তু তিনি আশ্বাসেই দিন পার করেন।

ভুক্তভোগী সেতুর মামাশ্বশুর আজিজুল ইসলাম খানের অভিযোগ, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে অফিস সহায়ক মশিউর রহমান তাদের বাহিরে নিয়ে এসে কার্ড করে দেয়ার জন্য খরচ বাবদ ২হাজার টাকা এবং কিছু কাগজপত্র নেয়। এরপর বেশ কিছুদিন তার পিছনে ঘুরেও তিনি শুধু তাদের আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেন। 

এদিকে অভিযুক্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মশিউর রহমান টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অফিসিয়াল কিছু খরচ আছে সেজন্য এই দুই হাজার নেওয়া হয়েছে। কার্ড না হলে টাকা ফেরত দিবো। ভুল করেছি আর এমন হবে না আর।  

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, কার্ডের জন্য অফিসিয়ালি কোন খরচ নেয়া হয় না। অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। অফিস সহায়ক মশিউর রহমানের এ বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমীন বলেন, কোন ভাতাভোগীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন করলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত