ভোটবিরোধী সভা-সমাবেশের বিষয়ে ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২৬ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ০৪:০১

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নির্বাচনের সময় সভা সমাবেশ বন্ধ রাখা এটা অতি সাধারণ বিষয়। নির্বাচনের কার্যকলাপ করার সময় কোনো দল যদি আবার সভা সমাবেশ করতে যায় তাহলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সময় সভা সমাবেশ করলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে ভেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যে ধরনের সহায়তা চাইবে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক পরিপন্থী কিছু হয়েছে বলে মনে করি না। নির্বাচন কমিশন নিজেরাই একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা সংবিধানের বাইরে কিছু করতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য সভা সমাবেশ ডাকছে তাদের এসব নাশকতামূলক কাজ বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের সিদ্ধান্তই নিতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোটের প্রচার ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না করার নির্দেশনা এবং সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আইজিপি ছাড়াও এই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে- নির্বাচন কমিশনের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার, সব উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক, সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের।

তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হওয়ার পর ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা।


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত