ভূমিকম্পের সুযোগ নিয়ে তুরস্কের ২০ জঙ্গী কারাবন্দী পলাতক

প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৬ | আপডেট : ৫ মে ২০২৫, ১৯:০৩

তুরস্ক সীমান্তবর্তী সিরিয়ার রাজো শহরের কারাগারটির দুই হাজার বন্দির মধ্যে প্রায় ১৩ শ জনই সন্দেহভাজন আইএস যোদ্ধা।
সোমবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই দেশে এরইমধ্যে মৃত্যু পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবারের ওই ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় বেশ কয়েকবার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে।
রাজো কারাগারের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ‘‘ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর কারাবন্দিরা বিদ্রোহ শুরু করে এবং কারাগারের একাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
‘‘প্রায় ২০ বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে...যারা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি বলেই আমাদের বিশ্বাস।”

সোমবারের ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্ক। তুরস্কের পর ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিরিয়া। সেখানে মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয় পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটিতে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ, তুরস্কের মত সেখানে তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ অতটা গতি পায়নি।
দীর্ঘ ১১ বছরের গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া এমনিতেই খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে কিছু অঞ্চল এখনো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেখানে হাতেগোণা দুএকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অল্প কিছু কর্মী উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
প্রয়োজনীয় সক্ষমতার অভাবে সিরিয়া সরকারের উদ্ধার কার্যক্রমও খুবই ধীর গতিতে চলচ্ছে।
সিরিয়ার ভূমিকম্প দুর্গতদের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছে প্রতিবেশী ইরান ও ইরাক।
দুই দেশ থেকে একাধিক উড়োজাহাজ সহায়তা নিয়ে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বলে জানায় বিবিসি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রী সংবাদমাধ্যম সানা জানায়, ইরাক থেকে ৭০ টন খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, কম্বল এবং আরো কিছু জরুরি সহায়তা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে।
ইরানও সোমবার সকালেই তাদের সাহায্য পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশে সিরিয়ায় আরো মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত আছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত