বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ভোটের লড়াই চলছে
প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:৪৫ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:২১
শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে আজই জানা যাবে ফলাফল।
নির্বাচনের আমেজ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়ে গেছে মিরপুরের বিসিবি ভবনে। ভোট দিতে আসা কাউন্সিলদের শেষ মুহূর্তের দৃষ্টি আকর্ষণে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেজেছে প্রার্থীদের ব্যানার-ফ্যাস্টুনে। ২৩টি পরিচালক পদের বিপরীতে এবার ভোট হচ্ছে ১৪টি পদের জন্য।
২৩ পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এরই মধ্যে ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তারা হলেন আ জ ম নাসির, আকরাম খান, শেখ সোহেল, কাজী ইনাম, আলমগীন খান, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম।
বাকি ১৬ পদে নির্বাচন হলেও ঢাকা বিভাগেও কার্যত নামমাত্র নির্বাচন হচ্ছে। এই বিভাগে শেষ পর্যন্ত ৪ থেকে কমে প্রার্থী এখন দু'জন। তারা হলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও তানভির আহমেদ টিটু। এখানে আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন- একজন খালিদ হোসেন, অন্যজন সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম।
খালিদ হোসেন ক’দিন আগেই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। আর সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে নিজেকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তাই ঢাকা বিভাগে কার্যত নাম মাত্র নির্বাচন হবে। যেহেতু পদ দুটি, মানে দুজন পরিচালক নির্বাচিত হবেন এবং ৪ থেকে দুজন প্রাথী সড়ে দাঁড়ানোয় এখন বাকি দুই পদের জন্য প্রার্থীও দুজন। তাই নাইমুর রহমান দুর্জয় আর তানভির আহমেদ টিটুর বিজয় নিশ্চিত।
ওদিকে আর দুটি ক্ষেত্রে এক পদে দু’জনার লড়াই হচ্ছে। একটি হলো রাজশাহী বিভাগে। যেখানে বিসিবির আগের কমিটির পরিচালক সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
অন্যদিকে ক্যাটাগরি ৩-এ মুখোমুখি হচ্ছেন বিসিবির সদ্য সাবেক হওয়া কমিটির আরেক পরিচালক ও গেম ডেভোলপমেন্ট কমিটি প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন এবং নামী প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
আর ঢাকার ক্লাব পর্যায় মানে ক্যাটাগরি-২’ তেও প্রার্থী একজন কমে গেছে। নির্বাচনের আগের রাতে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মোহামেডডানের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান। তার মানে ক্যাটাগরি ২-এ ১২ পদের জন্য এখন প্রার্থী থাকছেন ১৫ জন।
এদিকে আজকের নির্বাচনে ১৭১ জন ভোটারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তার মধ্যে ৫৬ জন ভোট কেন্দ্রে স্ব-শরীরে না এসে পোস্টাল ও ই-ভোট প্রদান করবেন। তার মানে ১১৫ জন স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে ভোট দেবেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত