বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচন কমিশন নেই, আমেরিকাতেও নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:৩১ | আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৭
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা দু:খজনক। মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সিলেট নগরীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘ক্যাথল্যাব’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
ড. মোমেন বলেন, একটি সুন্দর উদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, কিন্তু বিএনপিই দুমড়ে-মুচড়ে এই ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা এই ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছিল। তারা পরতে পরতে বেআইনী কাজ করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপি এখন গণতন্ত্র শেখাতে চায়, তারাইতো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন ‘ইয়েস’ ‘নট’ ভোট দিলেন। ভোট গ্রহণের দায়িত্বপালনকারীদের বলে দিলেন যাতে সবাই ‘ইয়েস’ ভোট দেয়। এতে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়ে ‘ইয়েস’-এ। এ নিয়ে সমালোচনা ও হাসাহাসি শুরু হলে পরে তা কমিয়ে ৮৮ শতাংশ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এভাবেই সবসময় পেছনের দরজা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছে এবং আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই সুযোগ আর এখন নেই। নির্বাচন করতে চাইলে তাদেরকে নির্বাচনের পথে আসতে হবে। তাদেরকে জনগণের কাছে আসতে হবে। জনতাই হচ্ছে ভোটের মালিক, দেশের মালিক। স্বচ্ছ ইলেকশন কমিশন হবে, সেই কমিশনের মাধ্যমে যে নির্বাচন হবে সেটা অবশ্যই স্বচ্ছ হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে এই দল ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়েছিল। পৃথিবীতে খুব কম দেশ আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। আমাদের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত ও প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়েও এ দেশে গণতন্ত্রকে পরিপক্ষতা দিতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছে।
বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচন কমিশন নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতেও কোন নির্বাচন কমিশন নেই। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে-ই নির্বাচন করে। আমরা এ দেশে নির্বাচন কমিশন করে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ আমরা সবসময় গণতান্ত্রিক নিয়ম ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাস করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক কারণে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা প্রদানের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি সিলেটের মানুষকে যাতে দেশের অন্য স্থানে বা দেশের বাইরে যেতে না হয় সেরকম মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি সিলেটে স্বাস্থ্যখাতে আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা.হিমাংশু লাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ডা. মাহবুবুর রহমান, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো.জাকির হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত