বাগেরহাটে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৩৭ |  আপডেট  : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৪

বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সাধারণ সদস্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠে চলছে শীতল যুদ্ধ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) জেলা পরিষদ নির্বাচন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অধিকাংশ প্রার্থীই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এক দিকে যেমন তাদের দলে রয়েছে শক্ত অবস্থান, অপর দিকে নেপথ্যের কারিগর হিসেবে কাজ করছেন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদরা। এই অবস্থায় ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তীর ছুড়ছেন সদস্য প্রার্থীরা। এমনকি সুষ্ঠু ভোট নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটে সাধারণ সদস্য পদে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মোল্লাহাট উপজেলার সাধারণ সদস্য এসএম অলিউজ্জামান ও ফকিরহাট উপজেলার মো. আব্দুর রাজ্জাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ৭টি সাধারণ সদস্য পদে ১৯ জন ও ৩টি নারী সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার ১ হাজার ৩৬ জন জনপ্রতিনিধি ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

জেলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (বাগেরহাট সদর) সদস্য পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কাজী জাহিদ সরোয়ার টিটু সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব। অপর দিকে সরদার মাসুদুর রহমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যুবলীগের সদস্য সচিব ও তার মদদদাতারা ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে বলে দাবি করে সরদার মাসুদ বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই আমার প্রতিপক্ষ নির্বাচনী আচরণবিধি লক্সঘন করে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন। আমি তাদের বিধিবহিভূর্ত কার্যকলাপ তুলে ধরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত। এখানে রক্তারক্তি কান্ড ঘটতে পারে। এই অবস্থায় আইনশৃক্সখলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

তবে কাজী জাহিদ সরোয়ার টিটুর দাবি, তাদের দুই প্রার্থীর মধ্যে দীর্ঘ দিনের আন্তরিক সম্পর্ক। ভোটারদের সালাম দিয়ে অনুরোধ ব্যতীত কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার তিনি করেননি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।  

এছাড়া বাকি উপজেলাগুলোতে কয়েকজন প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের কথা মৌখিকভাবে বললেও নাম প্রকাশে রাজি হননি কেউ।

তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা বা নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি নেই বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রে সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।  
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত