বাগেরহাটে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মহিলা মেম্বার লাঞ্চিত

  বাগেরহাটে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মহিলা মেম্বর লাঞ্চিত

প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:৪৯ |  আপডেট  : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় সরকার প্রদত্ত ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করার প্রতিবাদ করায় জনসস্মুখে এক সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বর ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মহিলা মেম্বর সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবর অভিযাগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গোটা চিতলামারী উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশোক বড়াল ও তার স্ত্রী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী বড়াল ওরফে ঝর্না উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেই মহিলা মেম্বরকে জুতা দিয়ে পিটিয়েছে।

জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে দাখিলকৃত ওই অভিযোগে বলা হয়, চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্ত্রী অর্চনা দেবী বড়াল ঝর্না স্থানীয় চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে বিনাভোটে হওয়া চেয়ারম্যান। এর আগে এ ইউনিয়নে তার স্বামী অশোক বড়াল চেয়ারম্যান ছিলেন। ফলে ওই ইউনিয়নবাসীর জন্য সরকার প্রদত্ত যে সব সুযোগ সুবিধা আসে তার অধিকাংশই তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অনৈতিকভাবে ভাগবাটোয়ারা করেন। আর বেশীরভাগ বরাদ্দতে স্বজন প্রীতি হয়। ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। মহিলা মেম্বরের ৩ ওয়ার্ডে ৬ জনের জন্য বরাদ্দ ৬টি ভিজিএফ কার্ডের ২টি বাতিল করে সরকারি চাকরিজীবী পরিবারসহ যারা ভিজিএফ কার্ড পাওয়ার অযোগ্য তাদেরকে দেয়া হয়। গত ২৩ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত সভায় এর প্রতিবাদ করলে পরিষদে উপস্থিত থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক বড়াল ও তার স্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা দেবী ঝর্না মহিলা মেম্বরকে জুতা দিয়ে মারপিট করে পরিষদ থেকে বের করে দেয়। এবং হুমকি দিয়ে বলে যেন ইউনিয়ন পরিষদে না যাই। 

নির্যাতিত মহিলা মেম্বর ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ বিতরণে চেয়ারম্যান সব সময়ই স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়ম করে আসছেন। প্রতিবাদ করলে মারপিটসহ নানাধরনের হুমকি প্রদান করা হয়। আমাকে লাঞ্চিত করার ঘটনা আমি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়ে পরে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক বরাবর সোমবার অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার দাবি করেছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত