বাংলাবান্ধাস্থল বন্দরে ধূলোবালুতে কাজ করছে শ্রমিকরা, দেখার কেউ নেই  

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১১ |  আপডেট  : ১ মে ২০২৪, ২১:৫৪

দেশের বানিজ্য ও অর্থনীতিতে অবদান রাখা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধাস্থলবন্দটির পরিবেশ এখন ধূলোবালুতে পরিপূর্ণ। পাথর ভাঙ্গা মেশিনেরে উচ্চ শব্দ যা শব্দ দূষনে পরিনত হয়েছে।

বাংলাবান্ধা এলাকায় স্টোন ক্রাশিং জোন থাকায় এই অবস্থা বিরামান।এমন পরিবেশের কারণে ফসলের ক্ষেতে ও তার বড় প্রভাব পড়ছে। ধূলোকণায় জমিতে স্তূপ জমছে।নষ্ট হচ্ছে এলাকার মানুষের ঘড়-বাড়ি। স্থানীয় মানুষজন অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নৌযার দাবি তুললেও সে বিষয়ে আজো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
 
 বাংলাবান্ধাস্থলবন্দর চতুর্থদেশীয় আমদানি ও রপ্তানীর ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক সম্ভনাময় হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি সুবিশাল অর্থনৈতিক কাঠামোগত পর্যায়ে বিদ্যামান। তবে চালু রয়েছে ত্রিদেশীয় আমদানি রপ্তানী। যেমন; ভারত,নেপাল ও ভূট্রান । এই তিনটি দেশের সাথে বাংলাদেশ বানিজ্যিক পর্যায়ে ব্যবসা-বানিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। তবে ভূট্রান আপাতত পাথর দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে বাদ আছে চীনের সাথে এ অঞ্চলের আমদানী রপ্তানী।

তবে অন্যদিকে ভারত-নেপালে দ্বিপক্ষীয় ভাবে পণ্য আমদানি রপ্তানী করছে।পাথর সহ ভারত -নেপাল প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানি রপ্তানীতে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সহ ভারত,নেপাল ও ভূট্রানের একটি ব্যবসায়ি মহল নিজ নিজ দেশে অর্থনীতিতে অবদান রেখে আসছে।

এছাড়া এ বন্দরটিতে পন্য ওঠানামা করায় শত শত শ্রমজীবী স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেছে। পারিবারিক জীবনমান উন্নয়নের সাথে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে বড় রকম ইতিবাচক বন্ধন তৈরী করেছে।  এর সাথে সরাসরি পারষ্পারিক সৌহার্দ্যপূন সম্পর্ক রয়েছে ব্যবসায়ি ও শ্রমজীবীদের।

এছাড়াও বাংলাবান্ধাস্থলবন্দরে চালু রয়েছে ইমিগ্রেশন সুবিধা। এই সু্িবধার আওতায় মানুষ বিশেষ করে ভার ও বাংলাদেশের মানুষ যাতায়াত সুবিধা পেয়ে আসছে। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা নিতে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় গমন করেন অসংখ্য মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইতিবাচক সুবিধা গড়ে ওঠায় এই বাংলাবান্ধাস্থলবন্দর ওইমিগ্রেশন সুবিধা নিচ্ছে।

পাশাপাশি এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাক পাথর আসে ভারত,নেপাল ও ভূট্রান থেকে।এই পাথর নামানো ও পরে মেশিন দিযে ভাঙ্গানোর সাথে জড়িত। পাথর ভ্ঙ্গাা ও নামানোর সময় ধূলোবালুতে পাথর শ্রমিকদের মুখমন্ডল পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নাক মুখে এসব ময়লা ও ধূলা প্রবেশ করে। এতে স্বাস্থ্যঝূঁকি দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে শ্রমকিদের সাথে শিশু সহ সব বয়সী মানুষ শ্বাসকষ্ট সর্দি, জ্বর সহ মরণ ব্যধি সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

পাথরশ্রমিক আব্দুল আউয়াল বলেন,  ক্ষতি হয়  তা জেনেও কাজ করি। বুকে জাম জাম লাগে, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। জ্বর ও শরীরে অনেক ব্যথা হয়। মাস্ক পরি না। কারণ, একটুতেই ধুলাবালিতে মাস্ক জাম হয়ে যায়। এতে নিশ্বাস নিতে পারিনা। এতো মাস্ক পড়া যায়।     

বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন ‘ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করে। ব্যবসায়ি আছে ২০০ শতাধিক। শ্রমিকদের জন্য এখানে স্টোন ক্রাশিং জোন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। এটা না হলে শ্রমিকরা নানা রোগে আক্রান্ত হবে। এটি করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমানা করছি।  

এ ব্যাপারে  তেঁতুলিয়া ইউএনও  মো. ফজলে রাব্বি জানান, স্থলবন্দটির আশপাশে কোন স্টোন ক্রাশি জোন করা যায় কিনা তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় স্টাডি করা হচ্ছে। যদি স্টাডি ফিজিবল হয় তাহলে এই রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এরপর সরকার নিশ্চয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত