কর্তৃপক্ষ এখন দর্শক
বন-জঙ্গলের বানর এখন লোকালয়ে--!
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:০২ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯
কাউনিয়ায় বন বিভাগের কর্তৃপক্ষ দর্শকের ভুমিকায়। বন-জঙ্গলের বানর এখন লোকালয়ে অবাধে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে একটি ক্ষুধার্ত বানর কাউনিয়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করছে। কখনো দোকানের চালে, কখনো অফিস বাসা বাড়ীর ছাদে, বাড়ীর উঠানে, রাস্তার ধারে খাদ্যের অন্বেষণে ঘোরাঘুরি করছে। কারো দয়া হলে ভয়ে ভয়ে রুটি-কলা-শষা, ফল মূল খেতে দিচ্ছে বানর টিকে। কারো দেয়া খাবার খাচ্ছে কারো খাবার না খেয়ে ছুটে যাচ্ছে অন্যত্র। এ ভাবেই গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা সদরের আনাচে কানাচে দেখা মিলছে বানর টির।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবির আলী মন্ডল বলেন বানর টিকে দেখে মনে হয় ক্ষুধার্ত, লোকজন দেখলে তারাতারি করে গাছের ডালে অথবা চালে উঠে পরছে। কেউ কেউ তাকে খেতে দেয় আবার কিছু দুষ্ট প্রকৃতির বালক টিল ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র বলেন " জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর'' বনের প্রাণী টি কে আমরা সবাই দয়ার দৃষ্টিতে দেখি। তাই দলছুঁট বানর টি কে বিরক্ত না করার জন্য সবাই কে অনৃরোধ জানইয়েছেন তিনি। তবে অনেকেই বানর টিকে বিরক্ত বা উৎতক্ত্য না করতে নিষেধ করে। ফলে বানর টি এখন নিশ্চিন্তে ঘোরাঘুরি করছে।
প্রধান শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন "বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে" তাই বনের প্রাণী বনে থাকাই শ্রেয়। অনেক দুষ্ট ছেলে এবং কুকুরের দল বানর টির পিছু নিয়ে তাকে বিরক্ত করছে। এতে করে বানর টি মাঝে মাঝে হিংস্র মনোভাব প্রকাশ করছে। বানর টি কে উদ্ধার করে বন- জঙ্গলে বা তার জন্য নিরাপদ এমন স্থানে ছেড়ে দিয়ে আসা উচিত। তা না হলে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে। কোথা থেকে বানর টি কীভাবে কাউনিয়ার লোকালয়ে চলে আসলো তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে ধারনা করা হচ্ছে গভীর বন জঙ্গল থেকে দলছুঁট হয়ে বা চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে এসে থাকতে পারে বানর টি। বানর টির বয়স হওয়ায় লাফালাফির হার অনেক কমে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন বলেন বিষয়টি জেনেছি, বন কর্মকর্তাকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। উপজেলা সামাজিক বনায়ণ কর্মকর্তা মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন দলছুঁট ভবঘুরে বানর টি উদ্ধারে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানানো হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত