বগুড়া সংবাদ
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ১৭:৪১ | আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭
বগুড়ায় ধান ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের
বগুড়ার আদমদীঘিতে মিজানুর রহমান(৪৫)নামের এক ধান ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপরি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় সন্ত্রাসী মারুফ হোসেন (২৫),ও তার বাবা আবুল কাশেম,মা নাজমা বেগম,বোন মারুফা আক্তার সহ ৫জনকে আসামী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুত্বর আহত ধান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী নারগিস আক্তার বাদী হয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে হামলার শিকার গুরুত্বর আহত ধান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়,বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের মৃত হোসেন সরদারের ছেলে ধান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সাথে একই গ্রামের আবুল কাশেম ও তার ছেলে মারুফ হোসেনের মধ্যে একটি পুকুর নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য ওই গ্রামে এক বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে গ্রামের মাতবরগন সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হওয়ার পর ধান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বৈঠক থেকে বাড়ী ফেরার পথে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে গ্রামের দক্ষিনপাড়া মসজিদের নিকট পৌছা মাত্র সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মারুফ হোসেন সহ তার পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র (চাইনজ কুড়াল) দিয়ে মিজানুর রহমানের পিঠে উপুর্যপুরি আঘাত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী গুরুত্বর আহত মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
এ ঘটনায় দমদমা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মারুফ হোসেন,মারুফের বাবা আবুল কাশেম, মা নাজমা বেগম, বোন মারুফা আক্তার ও একই গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে সন্ত্রাসী মারুফের বন্ধু রহিতকে আসামী করে গতকাল সোমবার বিকেলে আদমদীঘি থানায় গুরুত্বর আহত ধান ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী নারগিস আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
বগুড়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতিদের কর্মশালা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়-মাদ্রাসার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিদের নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলা হলরুমে পারফরমেল বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস ( চইএঝও)
স্কিম সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ( ঝঊউচ) এর আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহ একাডেমিক উন্নয়নের লক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিক আজিজ। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মনজু আরা বেগম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা বেগম চাঁপা,উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খান,সান্তাহার সরকারি হার্ভে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহাদত হোসেন,শহীদ সিরাজ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক,ছাতিয়ানগ্রাম দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীম প্রমুখ।
মাংস’র দাম কমল প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে গরু, খাসি ও মহিষের মাংসের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার থেকে পুর্বের দামের চেয়ে প্রতি কেজি মাংসে ৫০ টাকা কম দামে বেচা- কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, গরু, খাসি ও মহিষের মাংসের দামের উর্ধগতি বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সোমবার দুপুরে পৌরসভার মেয়রের কক্ষে ভোক্তা ও বিক্রেতাদের নিয়ে এক আলোচনা সভা করা হয়। মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ঈদুল ফিতরে গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬৮০ টাকা কেজি। এর ১৫ দিন পর থেকে এক লাফে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি শুরু করে মাংস বিক্রেতারা।
পাশাপাশি খাসির মাংস বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে বিক্রি করে প্রতি কেজি এক হাজার টাকা করে। তবে ঈদের পর খাসির মাংস বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে ৫০ কমে বিক্রি শুরু করে ৯৫০ টাকা করে। এনিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলর ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট অভিযোগ করতে শুরু করে ভোক্তা মহল। এর প্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এখন থেকে প্রতি কেজি গরু ও মহিষের মাংস ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০ টাকার পরিবর্তে ৯০০ টাকা দামে বেচা-কেনা হবে। পরবর্তী আলোচনা ও পুনঃসিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত এই দাম বহাল থাকবে।
বগুড়ার আদমদীঘিতে দেশী অস্ত্র সহ গ্রেফতার-২
বগুড়ার আদমদীঘিতে দেশী অস্ত্র সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকেলে উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের শিববাটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কাহালু উপজেলার চাকদাহ উত্তরপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জোবায়েদ আলম ওরফে শাকিল (২৩) ও আদমদীঘি উপজেলার হলুদঘর পশ্চিমপাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে বুলবুল হোসেন ওরফে সুমন (২৬)।
জানা যায়, গত রবিবার উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের শিববাটি বাজার এলাকায় ঠাকুর দাসের হোমিও দোকানের সামনে রাস্তার উপর শিববাটি মেলা উপলক্ষে চেকপোষ্ট বসায় পুলিশ। এক পর্যায়ে তল্লাশী করার সময় শাকিল ও বুলবুলকে পুলিশ দাঁড়াতে
বললে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করেন। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে দু’জনের দেহ তল্লাশী করলে তাদের নিকট বার্মিজ দু’টি চাকু উদ্ধার সহ তাদের গ্রেফতার করে। আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, অস্ত্র সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং এঘটনায় অস্ত্র আইনে থানায় মামলা দায়েরর দায়ের হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত