পেশিশক্তি ব্যবহার করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না: ইসি আলমগীর

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ১৬:০০ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮

পেশী শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা বলেন তিনি। এরআগে সকাল ১১ টায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নোয়াখালীর হাতিয়ার দুই ইউনিয়নের ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ইসি ভবনের সামনে কাফনের কাপড় ও বিষের বোতল নিয়ে অবস্থান নেন। 

তিনি বলেন, পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ যদি নির্বাচিত হবার স্বপ্নে দেখে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনী দায়িত্বপালনের প্রশাসনের কারও অবহেলা পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি অন্য প্রার্থীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ পাওয়া গেলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। 

পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিজয়ী হব, জনগনের সেবা করবো এইটা যদি কেউ মনে করে থাকে- তাহলে অত্যন্ত ভুল করছেন এবং এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না বলেন তিনি। প্রার্থীদের নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থানের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে প্রথম শুনলাম। কর্মকর্তাও বললো। আমরা তাদের বলেছি, উনাদের যদি কেউ থাকে তাহলে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন।

ভোটে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে ইসির ভূমিকা কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাধা দিয়ে কোন লাভ হবে না। যেকোন উৎস থেকে যদি তথ্য পাই যে প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হয়েছে, ভোটারকে বাধা দেওয়া হয়েছে অথবা নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে দেওয়া হয়েছে। তাহলে প্রথমে আমরা যেটা করি শিডিউলটাকে আমরা স্থগিত করে দেই, যাতে অন্য প্রার্থীরা নমিনেশন জমা দিতে পারে। যদি এমন হয় ওইখানে প্রার্থী নিরাপদ নয় তাহলে পাশ্ববর্তী জেলা বা উপজেলায় তাদের নমিনেশন সাবমিট করার সুযোগ দেই। 

তিনি বলেন, প্রার্থী, ভোটারদের নিরাপত্তা, প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া এইগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। দায়িত্ব পালনে কারও অবহেলা পেলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা মনে করি এইগুলা করে কোন লাভ হবে না।  যারা বুদ্ধিমান ও সচেতন তারা এইগুলো করবে না বলে আমরা মনে করি।
 
হাতিয়ার দুই ইউপি প্রার্থীদের দাবি ছিল সেখানকার প্রশাসনকে জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার্কেল এসপিকে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে এ প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেছেন, প্রত্যাহার তো সমাধান না। এখানে কার দায়িত্বহীনতা আছে সেটা আমরা দেখবো। একটা জিনিস বুঝতে হবে, প্রশাসনে যারা থাকে তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। এটা যদি প্রশাসনের নাকের ডগায় হয় তাহলে এক জিনিস, আর যদি হয় দূরে, প্রেজেন্সে হয় নাই.. কারণ প্রশাসনতো সবার বাড়ি বাড়ি থাকতে পারবে না।  যদি দেখা যায় ঘটনা অনেক দূরে হইছে, প্রশাসনে বাইরে বা সম্মুখে না।  অথবা এমন একটা সময় ঘটনা হইছে যেখানে প্রশাসন দূরে ছিল। তখন তো আর প্রশাসনের করার কিছুই থাকছেনা। সামনে কিছু ঘটলেও প্রশাসন সেখানে যদি নিশ্চুপ থাকে তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভোটে কেউ বাধা দিলে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা হবে। আপনারা দেখবেন তার প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে কি না। কেউ যদি পেশিশক্তি প্রয়োগ করে তাহলে ইসি তার ক্ষমতাবলে মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া ও ভোট বাতিল করে দেওয়া বা প্রার্থীর (অভিযুক্ত) প্রার্থীতা বাতিল করতে পারে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত