পাখির প্রতি ভালবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত, উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঘুঘুর বসবাস
প্রকাশ: ৯ মার্চ ২০২২, ২০:০৭ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৮
বিশেষ সৌন্দর্য্যরে প্রতিক,অতি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যধারী পাখি ঘুঘু পাখিকে নিয়ে অনাকা্ংিঙখত কথকথা বাঙ্গালীর গাল মন্দে পরিনত হয়েছে। বাংলা অভিধান আর বাকধারায় ঘুঘু চড়ানোর অর্থ হিসেবে বলা হয়েছে সর্বনাশ করা চরম ভাবে সর্বশান্ত করা। এক কথায় ক্ষতিকরা, অত্যাচারী, অশান্তি, নিপিড়ন চালানো, বর্তমান সময়ের সময়ে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বারান্দায় প্রবেশ সেই ঘুঘু পাখি সর্বনাশে, সর্বশান্ত আর অশান্তির পরিবর্তে শান্তি, সুশাসন, সেবা, দক্ষতা, সততা, নিয়মানুবর্তিতার প্রতিমুখ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। অতি আদরে, সেবায়, পরিচর্যায় ঘুঘু পাখিকে আগলে রেখেছেন উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুল হক মুন্টু,উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস সহায়ক গোলাম রব্বানী ও নির্বাহী অফিসারের কম্পিউটারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। পাখির প্রতি ভালবাসা, পাখি বান্ধব আর পরিচর্যায় সম্মিলন, দেখভাল ঘুঘু পাখিটি যেন উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের কর্মযজ্ঞের প্রাণ শক্তিতে পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসছে যাচ্ছে, কোলাহল, পদচারনা ঘুঘু পাখি সামান্যতম ভীত হয় না, যেন নিবেদিত সেবা প্রদানকারী প্রশাসন পরিবারের অতি দক্ষ কর্মকর্তার কর্মযজ্ঞ অবলোকন করে চলেছে। ইট, পাথর, কনক্রিটের স্থাপনায় উপজেলা পরিষদের গাছ গাছালীর শেখড়-বাকড়, পাতা, লতার মাধ্যমে ঘুঘু পাখিকে বসবাসের উপযুক্ত বাসা তৈরী করেছে। ঘুঘু গুলো পরম সুখে নির্ভাবনায় বসবাস করছে। নিয়ম মাফিক ঘুঘু পাখিদের খানাপিনা দেয়া হচ্ছে। পাখির অভয়ারন্য এবং সৌন্দয্য ডানামেলা ঘুঘু পাখি দেখার লোভ সামলাতে পারে না অনেকে। আর তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে প্রবেশ এবং ত্যাগ করে অনেকে ঘুঘু পাখির অবস্থায় করে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, প্রতিটি প্রাণী ভালবাসা আর আদরের কাঙ্গাল, পাখি তার ব্যতিক্রম নয়, আমরা চেষ্টা করছি ঘুঘু পাখিকে আমাদের মাঝে রাখতে, প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে পাখির প্রতি সহনশীল হতে হবে। শুধুমাত্র পাখি শিকার রোধ নয়, পাখির প্রতি সামান্যতম অবহেলা বা অনাদর করা হতে বিরত থাকতে হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত