পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়াররণ্য বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

  নজরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৫৯ |  আপডেট  : ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৮

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাস্তবায়নে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ইউএনও সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মসিউর রহমান মামুন। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম, টীম লিডার প্রফেসর ড. মো. লোকমান হোসেন, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামান, উদ্ভিদ ও বন বিশেষজ্ঞ শেখ মিজানুর রহমান, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. আলম হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ [জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা] চেয়ারম্যান ড. নিসতার কবীর প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগম, শ্রীনগর ইউনিয়ন [সদর] পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, শ্রীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠিত সভায় পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আওতাধীন এলাকা সম্পর্কিত, মৎস্য সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া চায়না ম্যাজিক চাই’র বিষয়ে গুরত্বের সাথে উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে। 

বক্তারা বলেন, চায়না ম্যাজিক চাই নামক ফাঁদটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিরাট হুমকি হয়ে দাড়াবে। পদ্মা নদীসহ এ অ লের খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে মাছ শিকারের জন্য চায়না দোয়াইর ব্যবহার করা হচ্ছে। ফাঁদটি দিয়ে পোনা মাছসহ সব ধরণের জলজপ্রাণী নিধন করা হচ্ছে। শ্রীনগরে অন্তত চায়না ম্যাজিক চাই তৈরীর ২৫/৩০টি কারখানা রয়েছে। এসব নিষিদ্ধ ফাঁদ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অ লে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এ ফাঁদটি বড় বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে। আইনী জটিলতা থাকার কারণে এসব ফাঁদ তৈরীর কারখানার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম টীম বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত