যোগাযোগ বিছিন্ন হাজারো মানুষের চরম দূর্ভোগ
পঞ্চগড়ে ২৪ ঘন্টার ভারী বর্ষনে ভেঙে পড়েছে ব্রীজ

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৩ | আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৪

পঞ্চগড়ে ২৪ ঘন্টার ভারী র্বষনে ভেঙে পড়েছে ব্রীজ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ভারী বর্ষন হয়েছে। যা এ বছরের অতি বর্ষন। বিরামহীন বৃষ্টির কারণে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজল দিঘী ইউনিয়নের কুচিয়ামোড় ও বন্দরপাড়া এলাকার সংযোগ সড়কের একটি সুইগেট ব্রীজ ধসে পড়ে। ফলে ১২ ঘণ্টায় বিরামহীন বৃষ্টির কারণে ব্রীজর দুই পাশে মাটি সরে যাওয়ার কারণে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে কারণে বৃষ্টির পানি তোরে ব্রীজের নিচে গিয়ে মাটি সরে যায়এতে ব্রীজের ভেতরের অংশ দুর্বল হয়ে পুরো ব্রীজটি ভেঙে পড়ে।সেখানকার বাসিন্দারা জানান, এই ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এই রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো সরাসরি বিকল্প পথ নেই। বিকল্প পথে যেতে হলে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। ফলে রাতে রোগী পরিবহন, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি এই আকস্মিক বর্ষনের পরব্রীজের দুই পাশে থাকা পাঁচটি দোকান ও পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে। এসকল ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান,তারা রাত ১১টার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এরপর ভোরে এসে দেখেন, দোকানের কিছুই অবশিষ্ট নেই। জমির উদ্দিন নামে একজন দোকানদার বলেন, আমার দোকানে বিভিন্ন রকম মালামাল ছিল, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব আলী বলেন, এই ব্রীজটাই ছিল আমাদের এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় জরুরী রোগী হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না।
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, যদি হঠাৎ করে রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হলে এ্যাম্বুলেন্সও এখানে আসতে পারবে না।স্থানীয় বাসিন্দারা জরুরী ভাবে যাতায়াতে ব্যবস্থা করে দেওয়ার জোড় দাবী করেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে আমরা সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ব্রীজটির সংস্কারের বরাদ্দ এসেছিল, দরপত্রও করা হয়েছিল। তবে বৃষ্টির পানির অতি স্্েরাতে হঠাৎ মধ্যে ব্রীজটি ভেঙে গেছে। খুব দ্রুত সম্ভব নতুন ব্রীজ নির্মাণে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পানি কমে গেলে মানুষ চলাচলের জন্য অস্থায়ী ব্রীজ তৈরী করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত