বাজার মূল্য চড়া

পঞ্চগড়ে সরকারি ভাবে আম ধান চাল সংগ্রহে ধীর গতি

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৯ |  আপডেট  : ১৯ মে ২০২৪, ০৮:২৮

পঞ্চগড়ের নয়টি খাদ্য গুদামে আমন ধান চাল সংগ্রহে নেই গতি। গুদামে ধান নিতে অতিরিক্ত কেরিং খরচ, ধান শুকানো ও পরিষ্কার করা সহ বিল উত্তোলনে ঝামেলায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।

সরকারি ভাবে সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৯৩ মেট্রিক টন।চাল সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ শত মেট্রিক টন। সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় গত ২৩ নভেম্বর। চলতি আমন ধান চাল সংগ্রহ মৌসুমে জেলার নয়টি খাদ্য গুদামে সরকারি ভাবে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ রয়েছে ৫ হাজার ৩৮৯ মেট্রিক টন। এছাড়া ধানের বরাদ্দ রয়েছে ৪ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন।

পঞ্চগড় জেলা খাদ্য বিভাগের সূত্র মতে, গত আমন সংগ্রহ মৌসুমে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৮৫২ মেট্রিক টন। সংগ্রহ হয়েছে ২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।চুক্তিবদ্ধ মিলের সংখ্যা ১৫৮ টি। গতবারও ছিল ১৫৮টি। তবে মোট মিলের সংখ্যা ৪২০ টি। এছাড়া গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে শতভাগ সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে কয়েকদিন ধরে জেলার হাটবাজার গুলিতে ধানের দাম অনেকটাই বাড়তি। সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ঝলইহাট এলাকার কৃষক নবাব আলী জানান, তিনি স্থানীয় বাজারে প্রতি মন ধান বিক্রি করেছেন এক হাজার ১১০ টাকা। তিনি বলেন ‘বাজারে ঝামেলা নাই নগদ টাকা পাই পাইকারকে ধান দিয়ে আসি।তিনি বলেন‘ এক হাজার ৭০ থেকে এক হাজার ৮০ টাকা ধান বিক্রি হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ধানের দাম চড়া।

সাকোয়া ইউনিয়নের মিজানুর রহমান বলেন ‘আমি এক হাজার ৯০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করেছি। ধান ব্যবসায়ি আশরাফুল ইসলাম বলেন‘ শুরুর দিকে প্রতি মন ধান এক হাজার ২০ টাকা পর্যন্ত ধান কিনেছি। পরে দাম কমে এক হাজার ৭০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকায় নেমে আসে। আবারো তা বেড়েছে।

জেলার হাট বাজারগুলিতে ঘুরে জানা যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় অটো রাইস প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এসব অটো মালিকরা মাঠ পর্যায়ে পাইকার দিয়ে কমিশনের ভিত্তিতে ধান সংগ্রহ করে তাদের মিলে মুজুদ করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি গুদামে ধানও চাল নিতে হিমশীম খেতে হয় কর্মকর্তাদের।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে এবারে জেলায় মোট ১ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়। এতে ধান উৎপাদন হয় ৫ লাখ মেট্রিক ১৮ হাজার ৪৩৩ মেট্রিক টন।এতে চাল উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬২২ মেট্রিক টন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ভারপ্রাপ্ত কামরুজ্জামান জানান ‘বাজার দর বেশি হলেও সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে আমরা আশাবাদী। কারন সময় আছে ফেব্রয়ারীর ২৮ তারিখ পর্যন্ত।

 

সান
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত