পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙ্গে গেছে সড়ক জনদূর্ভোগ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৪, ১৯:৫২ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৬

মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে পঞ্চগড়ে ভারীভর্ষণে ভোগান্তি বেড়েছে। দুদিনে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস। কদিন ধরে থেমে মাঝারি ও ভারি বর্ষণ

এদিকে রোববার (৩০ জুন) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট সড়ক বৃষ্টির পানিতে সড়ক ভেঙ্গে গেছে।ফলে দূর্ভোগে পড়েছে ওই এলাকার চলাচলকারি জনসাধারন।স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার ভারী বর্ষণের কারণে বলেয়াপাড়ার কালভার্টসংলগ্ন সড়কের পশ্চিম দিকে অতিরিক্ত পানি জমে। একপর্যায়ে পানি বাড়তে থাকলে তা কালভার্টের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। পানির স্রোতের কারণে সড়কটি রোববার ভোর রাত থেকে ভাঙতে শুরু করে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যানচলাচল। বিকল্প সড়কে কাদাযুক্ত কাচা রাস্তায় চলতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষদের। সমস্যাটা সমাধানে এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কটি দিয়ে জেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যেতে প্রতিদিন চলাচল করে শতশত যানবাহন। সড়কটির উত্তরে রয়েছে বলেয়াপাড়া, গোফাপাড়া, ডুডুমারী, মাহানপাড়া, জগদল, বসুনিয়াপাড়া, দেওয়ানহাট ও সন্ন্যাসীপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকা। এসব এলাকার জনসাধারণ জেলা শহরে আসতে ব্যবহার করে থাকেন এ আঞ্চলিক সড়কটি। প্রতি বর্ষার সময়ে এ এলাকার জমে থাকা পানি বলেয়াপাড়া কালভার্টটি দিয়ে নালার সাহায্যে তালমা নদীতে গিয়ে পড়ত।সদর উপজেলার সদর ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বলেয়াপাড়ার একটি কালভার্টের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে গেছে। এ কারণে ওই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যেতে প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।

তিনি আরও জানান, বিশেষ করে পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের বানিয়ার মিল সংলগ্ন ভাঙ্গামালি ব্রিজের ভাটি অংশে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় সেখান দিয়ে পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। সে কারণে ভারি বৃষ্টিপাতে বলেয়াপাড়া দিয়ে পানির চাপ বাড়ে। গত বর্ষা মৌসুমেও এই ব্রিজের মুখ বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল।
 
পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল ইমরান খান বলেন, বর্ষার ভারি বর্ষণের কারণে পানির চাপে সড়কটি ভেঙে পড়েছে। আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এলজিইডি প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তবে লোকজন যাতে চলাচল করতে পার সে জন্য গাছ কাটা হয়েছে। সেখানে আপাতত একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হবে। আশা করছি মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সদর উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, বলেয়াপাড়ায় সড়কটি ভেঙে পড়ার পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্যোগ নিতে বলেছি। আপাতত চলাচলের জন্য সেখানে একটি কাঠের সাকো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান আরো দু-চারদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে। সোমবার ভোর ৬ টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬ টা ২৪ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।মৌসুমি বায়ূর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত