নাশকতা মামলায় আদমদীঘিতে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী গ্রেফতার 

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৫ |  আপডেট  : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭

আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের কয়াকুঞ্চি গ্রামে বিএনপির অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় চাঁপাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত তপন কুমার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির মিতইল গ্রামের শী নিপেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে। 

মামলা সুত্রে জানায়ায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউপির কয়াকঞ্চি গ্রামস্থ বিএনপির অফিসে বিগত ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড় টায় বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির অফিসে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর ও পদদলীত করে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে আদমদীঘি উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক সরকারের ছেলে চাঁপাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদ হোসেন সরকার বাদি হয়ে ৫৩জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫০জনসহ মোট ২০৩জনের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দিকে আদমদীঘি বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত নাশকতা মামলায় আদমদীঘি উপজেলা সদরের অহিদুল ইসলাম হিরু (৪৫) নামের এক আ’লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম শিবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হিরু উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামের মুক্তাজার রহমান মনজুর ছেলে। 

উল্লেখ্য: গত ৪ আগস্ট আদমদীঘি উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৫ আগস্ট রাতে সাবেক এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতিসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আইনী প্রক্রিয়া শেষে গতকাল শনিবার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানায় থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত