নন-ইউরিয়ার সারে সাদা কালো দানাদার-ডাস্ট কারসাজী
প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৬ | আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২
বগুড়ার আদমদীঘিতে ভর্তুকি মুল্যের সার বেশী দামে বিক্রির রমরমা বাণিজ্য করার অভিযোগ মিলেছে। তবে ইউরিয়া সার ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু তিন প্রকারের নন-ইউরিয়ার সারের মধ্যে এমওপি সার দানাদার ও ডাস্ট এবং টিএসপি কালো (তিউনিসিয়া) ও সাদা মরক্কো ও চায়না সহ অন্য দেশ থেকে আমদাানী করা) রংয়ের সার এর কারসাজী তৈরি করে ডিলাররা খুচরা ডিলার ও কৃষকদের পকেট কাটছে দেদারছে। ডিলার ছাড়াও বিএডিসির স্থানীয় কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। চাহিদা পূর্ণ দানাদার এমওপি এবং কালো রংয়ের টিএসপি সার নিতে বিএডিসি কর্মকর্তাদের প্রতি বস্তার জন্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে আন্ডারমানি দিতে হয়। গুনে মানে কোন হেরফের না থাকলেও ডিলার ও কর্মকর্তাদের তৈরি করা কারসাজীতে পকেট কাটা যাচ্ছে কৃষকদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি আমন ধান রোপন মৌসুমে ভর্তুকির ইউরিয়া ও ডিএপি (নন-ইউরিয়া) নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা হলেও সব চেয়ে কম দামের এমওপি সার সব চেয়ে বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ডাস্ট এমওপি নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হলেও দানাদার এমওপি সারের বরাদ্দ কম এই অজুহাত দিয়ে ডিলাররা খুচরা ডিলার ও কৃষকদের নিকট থেকে প্রতি বস্তায় দুই শত টাকা করে বেশী নিচ্ছেন। ভর্তুকি মুল্যের এই সারের ডিলার পর্যায়ে মুল্য প্রতি বস্তা এক হাজার টাকা। উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, সান্তাহার ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলার থেকে অন্যান্য সারের সাথে নয় বস্তা এমওপি সার কিনেছেন। প্রতি বস্তার দাম নিয়েছেন এক হাজার দুইশ’ টাকা করে। কিন্তু ডিলার কর্তৃক ছাপা রশিদ না দিয়ে সাদা কাগজের রশিদ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাস্তাহার ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স রফিকুল ইসলাম এর মালিক রফিকুল ইসলাম আকন্দ ওই কৃষকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি সব সময় সরকারী দামে সার বিক্রি করে থাকি। সরেজমিন আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার,ছাতিয়ানগ্রাম,নসরতপুর, কুন্দুগ্রাম ও চাপাপুর ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক খুচরা ডিলাররা বলেন, ডিলার পয়েন্ট থেকে এক হাজার দুইশ’ টাকা বস্তা সার কিনতে হচ্ছে। তারা আরো বলেন, বেশী দামে কেনার কারনে তারাও বেশী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। সান্তাহার পৌরসভার ডিলার মেসার্স মির্জামল বিশ্বেশ্বর এর মালিক সন্তোষ আগরওয়ালার নিকট এমওপি সারের দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন আজকে নয় মঙ্গলবার পাবেন, প্রতি বস্তার দাম পড়বে এক হাজার দুইশ’ টাকা। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মুল্যের চেয়ে বেশী দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন কৃষক ও খুচরা ডিলার পর্যায় থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সান্তাহার বিএডিসিতে নতুন যোগদান করা সহকারি পরিচালক (সার) ও
গুদাম রক্ষক রবিউল হাসান বলেন, আমি এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি। তারপরও বলছি যে, ডিলারদের এধরনের অভিযোগ অসত্য এবং এমনটা হবার কোন সুযোগ নেই।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত