নন্দীগ্রাম থানার ওসিসহ তিন কর্মকর্তা প্রত্যাহার

বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলামসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা অফিসার ইনচার্জ মোজাহারুল ইসলামকে রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু মুসাকে বগুড়ার গাবতলী থানায় বদলি ও এসআই নাজমুল হককে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর করা আদেশে ওই তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এরপূর্বে জাসদ নেতা ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেনের ছোট ভাই একেএম মাহবুবার রহমান রুস্তমকে গ্রেপ্তার পর থানায় সমাদর করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এদিকে একটি সূত্র জানা গেছে, ২৪ আগস্ট দুপুরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের সামনে থেকে রুস্তমকে আটক করে থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। পরদিন থানা পুলিশ তাকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মারপিট ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেন।

এব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, জাসদ নেতা গ্রেপ্তারের সঙ্গে ওসিসহ তিন কর্মকর্তার প্রত্যাহারের কোনো সম্পর্ক নেই। থানা পুলিশকে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। যাতে জনগণ ভালোসেবা পান। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, রুস্তমকে থানা থেকে কোর্টে পাঠাতে থানা পুলিশ সময়ক্ষেপণ করেছে। রাত ১২টার পর জানতে পারি তাকে থানায় সমাদর করা হচ্ছে। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা থানায় গেলে পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, মাহবুবার রহমান রুস্তমের নামে থানায় কোনো মামলা ছিলো না। এক মামলায় রুস্তম আলী নামে একজনকে আসামি করা হয়েছিলো কিন্তু বাবার নাম না মিলায় সময় লেগেছে। বাবার নাম ও আসামির নামের মিল না থাকার কারণে রুস্তমকে জানুয়ারিতে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।