নন্দীগ্রামে অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে কাশফুল

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৭ | আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৮

ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশে এখন শরৎকাল চলছে। শরৎকাল এলেই নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। আর গ্রামবাংলার ঝোপঝাড়, রাস্তাঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মন মাতানো দৃশ্য চোখে পড়ে। কাশফুল বাতাসে দোল খাওয়া সে অপরূপ দৃশ্য দেখে মন ভরে যায়। এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যেনো হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতি প্রেমীদের।
সরেজমিনে নন্দীগ্রাম উপজেলার নাগর নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে সাদা কাশফুলের প্রস্ফুটিত রূপ-লাবণ্য। যা প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে নতুন রূপে। কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে দেখা গেছে নাগর নদীর পাড়ে। অনেকেই কাশফুলের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট দিতে দেখা যায়। নাগর নদীর নিকটবর্তী গ্রামের আলমগীর হোসেন বাচ্চু বলেন, বর্ষাকালের শেষের দিক থেকে কাশফুল ফুটে। এখন শরৎকাল তাই কাশবনে কাশফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা শীতল কুমার বলেন, এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং কাশফুলের হেলেদুলে থাকার দৃশ্য অপূর্ব লাগছে। অনেকেই এই কাশফুল দেখতে আসে।
নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম বলেন, ঋতু পরিক্রমায় এখন শরৎকাল। কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে প্রকৃতিতে। এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত উদ্ভিদ। কাশফুলের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার ও গুনাগুন। কাশবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, কাশফুলের আদি নিবাস রোমানিয়ায়। কাশফুলের ইংরেজি নাম ক্যাটকিন। কাশ-ছন গোত্রীয় একধরনের ঘাস। এ উদ্ভিদটি সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। নদীর ধার, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত