নক্ষত্র কিংবা জোনাকি

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৮ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৮

তপন কুমার দেবনাথ 
......................


যাব বললেই চলে যাওয়া যায় না।
যারা ফিরে আসতে চায় তাদেরও পেরোতে হয় বিপরীত স্রোত।
সম্পর্কের মাঝে হঠাৎ মাথা তুলে দাঁড়ায় অভিমানের দেয়াল।
স্বচ্ছ, দৃশ্যমান তবুও কাছে যাওয়া যায়না।
ইচ্ছে করলেও কথা বলা যায়না, ছুঁয়ে দেখা যায়না।
কিছু কিছু অভিমান বুকের মধ্যে পুষে রাখা ভালো।
কারো জন্য মন খারাপ করা মানেই অন্য কারো অস্তিত্বকে স্বীকার করে নেয়া।
সে চোখের সামনে থাকুক বা নাথাকুক 
চিন্তার রাজ্যের সবটাই তার দখলে।
অভিমানের সাথে যুক্ত অক্ষরগুলো পরস্পর কথা বলে,
সে কথা কেউ শুনতে পায় না।
অথচ বাতাস ভারি হয়ে আসে, 
নিঃশ্বাসের ছন্দ দ্রুত লয়ে এগিয়ে যায়, 
শূন্যতার বুকে শব্দ হয়।
সে শব্দ অনেকটা চেনাজানা গণ্ডি পেরিয়ে ছুটে চলে।
এই ছুটে চলার কোন শেষ নেই।
যে সব অক্ষরগুলো কবিতায় ফিরে আসেনি কিংবা 
যে সব শব্দ সুরের ছোঁয়া পায়নি 
তাদের জন্য মন খারাপ হয়।
দূরত্বের দেয়াল দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়। 
প্রিয়জন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে,
সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে চলে যায় ঠিকানা বিহীন।
স্বপ্নেও ফিরে আসে না কখনো কেউ। 
নিঃসঙ্গতার মাঝে অভিমান হল বিশ্বস্ত সঙ্গী,
তার মতো পরম বন্ধু আর কেই বা আছে।

বিচ্ছেদও কখনো কখনো প্রিয়, 
অশ্রুও কখনো কখনো দামী।
বিরহের মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসে অনবদ্য সৃষ্টি।
বিষাদের নীল দংশনে এক একজন প্রেমিক হয়ে ওঠে নক্ষত্র 
আর প্রেমিকারা হয়ে ওঠে জোনাকি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত