তদন্তে সম্পৃক্ততা না পেলে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ | আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৩৩
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া হত্যা ও অন্য মামলায় আসামিদের প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) কামরুল আহসানের সই করা চিঠিটি গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সারাদেশের প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফ্যাক্স করে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী পরিবার বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিভিন্ন আদালত বা থানায় করা মামলায় সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক দায়ের করা হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মামলায় তদন্তের পূর্বে কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য-মন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নামে মামলা হচ্ছে। বেশিরভাগ মামলাই হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলা।
এসব মামলার আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়া তার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় ও জেলা উপজেলার নেতারা রয়েছেন।
এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। কিছু মামলার আসামির তালিকায় সাংবাদিকরাও আছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত