ঢাকায় আসতে না পারায় শাবনূরের মন খারাপ
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৯ | আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৫
মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন, ঈদের সময়ে বাংলাদেশে থাকবেন অভিনেত্রী শাবনূর। কয়েক মাস ঢাকায় থাকবেন সন্তানদের নিয়ে। দেশের মাটিতে সময় কাটাবেন। তা আর হলো না এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায়, এখন আসতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। এ জন্য মনটাও খারাপ তাঁর।
বেশ কয়েক বছর ধরে শাবনূর বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়া–আসা করছেন। একমাত্র সন্তান আইজান নেহানের জন্মও অস্ট্রেলিয়াতে। মাস ছয়েক পরপর ঢাকায় আসেন তিনি। গত বছর করোনার সংক্রমণ শুরুর আগেই তিনি ঢাকা থেকে সিডনি পৌঁছান। ভেবেছিলেন, সংক্রমণ কমলে ঢাকায় এসে কিছুদিন বেড়িয়ে যাবেন। বছরের শুরুতে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ভেবেছিলেন, ঈদের সময়টাতে বাংলাদেশে থাকবেন। কিন্তু হঠাৎ বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে তাঁকে।
সিডনি থেকে শাবনূর বলেন, ‘করোনার মধ্যে এমনিতেই অস্ট্রেলিয়া থেকে বাইরে যেতে হলে অনেক ফরমালিটি মেইনটেইন করতে হয়। তবে এখানে (অস্ট্রেলিয়া) করোনার সংক্রমণ বলা যায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তবে সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম লোকজনও অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। বাংলাদেশে যেহেতু করোনার সংক্রমণ অনেক বেড়েছে, তাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হোক, তারপরই যাব। সবারই সুরক্ষা জরুরি।’
অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের কিছু খাবার খুব মিস করেন শাবনূর। একসময়ের এই দাপুটে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি বাঙালি খাবার সবচেয়ে বেশি মিস করি। মিস করি রাঁজহাস আর মুরগি। অস্ট্রেলিয়ায় ফল আছে, কিন্তু বাংলাদেশের গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার কথা মনে পড়ে। গ্রাম আমার বরাবরই ভালো লাগত, ছুটি পেলেই গ্রামে চলে যেতাম। গ্রামের বাড়ি থেকে মুরগি, ডিম, কলা নিয়ে আসতাম। ঢাকার তিন শ ফিটে প্রায়ই বোরকা পরে যেতাম। ওই দিকের গ্রামে ভালো মাছ, মুরগি আর ফ্রেশ শাকসবজি, ফলমূল পাওয়া যেত।’
করোনার এই সময়ে ঢাকায় যাঁদের খুব বেশি কাজ নেই, তাঁদের প্রতি শাবনূরের পরামর্শ, গ্রামে চলে যাওয়ার। তিনি বলেন, ‘অনেককেই দেখি গ্রামে অনেক জায়গাজমি রেখে ঢাকায় এসে অকারণে কষ্ট করেন। যাঁদের গ্রামে জায়গাজমি আছে, তাঁরা সেখানে চলে যান। ওই সব জায়গায় নিজেদের পছন্দসই কিছু করেন। দরকার হয়, নিজেদের পুকুর থাকলে মাছ চাষ করেন। হাঁস-মুরগিও পালন করতে পারেন। জমিতে নানান ধরনের ফলমূল ও শাকসবজির চাষাবাদও করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি মানসিকভাবেও ভালো থাকবেন। অকারণ টেনশন দূর হবে। আমার পরিচিত অনেকেই করোনায় এ ধরনের কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। তাঁরা ঢাকার চেয়ে অনেক ভালো আছেন বলেও জানান। করোনা ভালো হলে দরকার হয় আপনারা আবার ঢাকায় আসবেন।’
অস্ট্রেলিয়ায় শাবনূরের সুন্দর সময় কাটছে। তবে দেশের অবস্থার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে যায় তাঁর। শাবনূর বলেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আমার বন্ধুর সংখ্যাটা বেশি। তাই সময় পেলেই ঘুরতে বের হই। সবাই মিলে ঘুরতে মজাও লাগে। সময়টা সুন্দর কাটে।’
শাবনূরের একমাত্র ছেলে আইজান নেহানের বয়স আট বছর চলছে। শেষ করেছে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ালেখা। শাবনূর বলেন, ‘সিডনিতে পুরোদমে স্কুল চলছে। আইজানের খুব একটা দেখাশোনা করতে হয় না। সে নিজের খেয়াল নিজে রাখতে শিখেছে। এখানকার বাচ্চারা এমনিতেই খুব স্মার্ট।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত