জিয়ার শাহাদাত দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল খাদ্য বিতরন
প্রকাশ: ২ জুন ২০২১, ২০:৩৪ | আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক নবধারা প্রবর্তন করেছিলেন, যা দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এনে দিয়েছিল। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডঃ সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে বুধবার বাদ জোহর বাঘোপাড়া বন্দর জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সাবেক এমপি লালু বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পরে সবাই ভেবেছিল যে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, বিএনপিকে আর দেখা যাবে না। কারণ আসল নেতাই চলে গেছেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি একজন গৃহবধূ ছিলেন তিনি পতাকাকে তুলে ধরছেন। কিসের পতাকা? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকা, যেটাকে ধারণ করে এ দেশের মানুষ বেঁচে আছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে এখনো অসুস্থ অবস্থায় আছেন। এই সরকার কত বড় প্রতিহিংসা পরায়ন, তাদের যে পায়ের নিচে মাটি নেই। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন যে বাইরে নিয়ে যাও। তারা (সরকার) বাইরে যেতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে তাদের দুবর্লতা। তাদের রাজনীতির যে দেউলিয়াপনা, জনগণ থেকে যে বিচ্ছন্নতা তারই প্রমাণ। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খাঁন রুবেল এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম রাসেল মামুন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ জহুরুল আলম, উপজেলা মহিলাদলের সভাপতি নাজমা আকতার, গোকুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফেদৌস আলম পিলু, লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ, শেখেরকোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রশিদুল ইসলাম মৃধা, নামুজা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মাষ্টার, নুনগোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ বজলু, শাখারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছামছুল আলম মন্ডল, রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ নয়ন, ফাঁপোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম মাষ্টার, এরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপিনেতা সহিদুল ইসলাম সরকার, মানিক, আল আমীন পেস্তা, আকমল হোসেন সজল, আইয়ুব খাঁন, আসাদুল হক টুকু, ফারুক হাসান শিমুল, পেস্তা, মাহবুবুর রহমান দুলাল, শাহ আলম জনি, আতিকুর রহমান, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, এবিএম সিদ্দিক প্রমুখ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত