জনদূর্ভোগ চরমে, রংপুরের টেপামধুপুর হাটে যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১৭:৪০ |  আপডেট  : ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০১

বছরের পর বছর একই সমস্যা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনকে জানিয়ে কোন কাজ হয় না। সমস্যা সমাধান তো দূরের কথা প্রশাসনের দৃষ্টি পর্যন্ত পরে না। অল্প বৃষ্টিতেই বেহাল দশা এমন একটি রাস্তা হচ্ছে কাউনিয়া থেকে টেপামধুপুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।

সরেজমিনে উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে কাউনিয়ায় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের হাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশা। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা এবং পলিথিনের অপব্যবহারের ফলে রাস্তার পানি নিস্কাশন হয় না বলেই রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়। গত কিছু দিন আগেই রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে, কিন্তু এখন বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে সানাই মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সড়কটি খানা খন্দ আর বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে বাগদাদা মার্কেট পর্যন্ত পানি জমে থাকা নিত্য দিনের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

উপজেলায় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের হাট টেপামধুপুর হাটে যাওয়ার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারন করে। সড়কে কোন ড্রেন নেই এক পাশে একটি পানি যাওয়ার রাস্তা করলেও তা পলিথিন, কাদা মাটি দিয়ে প্রায় সময় ভরাট হয়ে থাকে। ফলে রাস্তার পানি নিস্কাশনের পথ না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যায়। জনসাধারন এ রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির সময় চলাচল করতে পারে না। অথচ এ রাস্তায় ব্যাংক, বীমা, এনজিও অফিস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ, নিজপাড়া ঈদগা মাঠ, ভায়ার হাট, জামতলা হাট, কালিরহাট যেতে হয়। 

সিহাব স্টোরের মালিক সোহরাব হোসেন জানান, রাস্তা ভাঙ্গা ও পানি জমে থাকায় গ্রাহক আসতে চায় না এই রাস্তায়, ফলে এই রাস্তার দুই ধারের ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী আঃ মালেক জানান রাস্তার বেহাল দশার কারণে টেপামধুপুর হাটে গরু নিয়ে যেতে ট্রাক, পিকাপ যেতে চায় না। রিক্সা চালক আয়নাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে এতো বড় সমস্যার কোন সমাধান হয় না। এমপি- মন্ত্রীরা খালি যায় আর আইসে (আসে) হামার এলার সমস্যার সমাধান কই তা হয় ?

প্রভাষক আসাদুজ্জামান শামীম জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দিয়ে বড় বড় কর্তাব্যাক্তি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যাতায়ত করেন কিন্তু এই রাস্তার স্থায়ী কোন সমধান হয় না। নির্বাহী অফিসার মোঃ মইদুল হক জানান, রাস্তাটির পানি নিস্কাশনের ড্রেনের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ও বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধারন করার চেষ্টা করবো। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির পানি দ্রুত নিস্কাশন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত