জনগণ জিম্মি, ঢাকায় ‘অঘোষিত কারফিউ’ চলছে: ফখরুল
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৬ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৮
মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরের এই দিনে পুরো ঢাকায় ‘অঘোষিত কারফিউ’ চলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার জনগণকে জিম্মি করে জনগণকে বাদ দিয়ে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ব্যস্ত।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আজকের এই দিনে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে যে অবস্থা এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। স্বাধীনতার ৫০ বছরের এই দিনে পুরো ঢাকায় ‘অঘোষিত কারফিউ’ চলছে। জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণকে বাদ দিয়েই আজকে এই দিনটি সরকার উদযাপন করছে।’
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তাঁর ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে সেসময় মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা দেখছি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে তিনি বাংলাদেশের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের হাতে বন্দি রয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্রের রাজনীতির অর্জন হচ্ছে এটা। ৫০ বছর পরেও আমরা স্বাধীন নই। একথা আমরা বারবার বলছি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এজন্য দেশের মানুষকে এখন আর আমরা স্বাধীন বলতে পারি না। আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে, শৃঙ্খলিত হয়েছে। এজন্য আমরা শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার সংগ্রাম করছি। আমরা শপথ নিয়েছি আমরা দেশকে, দেশের মানুষকে শৃঙ্খলমুক্ত করবোই।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাঁকে আমরা অবশ্যই মুক্ত করবো। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবোই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে করোনা আগ্রাসীভাবে বাংলাদেশে আক্রমণ করছে। সরকার সেদিকে উদাসীন। কোনও দৃষ্টি দিচ্ছে না। তার মূল কারণ হচ্ছে, সরকার বিদেশি মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। দেশের মানুষের কি হবে কি হবে না, এই বিষয়ে তাদের কোনও আগ্রহ আমরা দেখছি না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত