চীনা টিকা গ্রহণকারীদের ওপর সৌদি আরব ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিষেধ
প্রকাশ: ২ জুন ২০২১, ১১:০৭ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪
বিশ্বের কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে। এর মধ্যে আছে সৌদি আরব ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। আগামী ১ জুলাই থেকে করোনা টিকার ফুল কোর্স নিয়েছেন এমন বিদেশি পর্যটকদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চিন্তা করছে ইইউ। সৌদি আরবে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ওপর থেকে কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে সরকার। এতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা পর্যটকদের কোনো কোয়ারেন্টিনের দরকার পড়বে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পর্যটকদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিটেক সঙ্গে রাখতে হবে। শুধু ফাইজার-বায়োনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড, মর্ডানা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটগুলোই গ্রহণ করা হবে। তবে যারা চীনের টিকা নিয়েছেন তারা এ সুবিধা পাচ্ছেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো চীনের টিকাকে অনুমোদন দেয়নি।
এদিকে, গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য চীনের সিনোভ্যাক টিকাকেও অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এ টিকা গ্রহণকারীরাও সৌদি আরব ও ইইউ ঘোষিত সুবিধার আওতায় আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েকটি টিকার অনুমোদনের বিষয়টি যাছাই করছে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত দিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিষয়টি বিবেচনা করবে।
চীন ৫টি টিকা উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম। সিনোভ্যাকের আগে সিনোফার্ম ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত