চালের দাম কমেছে : খাদ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১ |  আপডেট  : ১২ মে ২০২৪, ১২:৫৪

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি মন্ত্রণালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নানামুখী তৎপরতার কারণে চালের দাম কমে গেছে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি, দ্রুতই চালের দাম আবারও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু।

এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন,খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অবৈধ আড়তদারদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যারা হাজার-হাজার মণ ধান আড়তদারির নাম করে বিনা লাইসেন্সে স্টক করছে, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আপনি মিল মালিক হয়েও যদি আপনার কাছে ধান মজুত থাকে তাহলে আপনাকেও ছাড় দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমার বাবা হলেও উপায় নেই। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ধান-চালের বাজার ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী নিজের বাড়ি থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করেছেন উল্লেখ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপারেশনে আছে। ব্যবসায়িক সূত্র বা ইকোনমিক্স থিওরিতে বলে যখন চাহিদা বেশি হয় তখন দাম বাড়ে, সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। আমি তো এই মুহূর্তে সরবরাহ কমের কোনো অবস্থা দেখছি না। প্রচুর ধান আছে। সরবরাহ যাতে না কমে যায় তার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়ে আমদানি করার চেষ্টা করছি, আমাদের ফাইল প্রসেসে আছে। হয়ত আমরা এটা ২-৪-৫ দিনের মধ্যে ফাইনাল করব। 

সা/ই

 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত