চট্টগ্রামে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণে নিহত ১, হাসপাতালে ভর্তি ৭ জন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:০৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এস. এন কর্পোরেশনের জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আহমদ উল্লাহ (৩৮) মারা গেছেন। দগ্ধ আরও সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২১), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)ণে

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালের দিকে সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটিং করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে করে ১২ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মধ্যরাতে ৮ জনকে ঢাকা উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ঢাকায় আনার পথে আহমদ উল্লাহ মারা যান। তিনি শিপইয়ার্ডের ম্যানেজার ছিলেন। দগ্ধ বাকি সাতজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তাদের অবস্থা ও আশংকাজনক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে দগ্ধ অবস্থায় আমাদের এখানে সাতজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকায় আনার পথে একজন মারা যায়। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত