গ্রিসে ট্রেন দূর্ঘটনার নিয়ে পদত্যাগ করেছেন পরিবহনমন্ত্রী
প্রকাশ: ২ মার্চ ২০২৩, ১৩:১০ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭
গ্রিসে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস।
বুধবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। বলেন, “এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটে, তখন তেমন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
“আমি গ্রিক রাষ্ট্রের ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। এক বলে রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা। আর সে কারণেই আমি অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।”
কারামানলিস আরও বলেন, “যে মানুষগুলো অপঘাতে মারা গেল তাদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ এটাই করা আমরা কর্তব্য বলে আমি বোধ করি। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে সমবেনা জানাচ্ছি, সমর্থন জ্ঞাপন করছি।”
গ্রিসে গত মঙ্গলবার রাতে লারিসা শহরের বাইরে ট্রেন দুটির সংঘর্ষ হয়। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে গ্রিক ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
যাত্রীবাহী ট্রেনটি এথেন্স থেকে যাচ্ছিল উত্তরের থেসালোনিকি শহরে; আর কার্গো ট্রেনটি উল্টো পথে থেসালোনিকি থেকে যাচ্ছিল লারিসা।
সংঘর্ষের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারামানলিস ঘটনাস্থল পরির্দশনের পর দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পুলিশ লারিসা শহরের স্টেশন মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে নরহত্যার অভিযোগ এনেছে।
৫৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ট্রেনের সিগন্যাল দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ভুল কিছু করার কথা অস্বীকার করেছেন এবং দুর্ঘটনার জন্য প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
গ্রিসের প্রেসিডেন্ট এই দুর্ঘটনাকে ‘অকল্পনীয় এক মর্মান্তিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। নিহতদের স্মরণে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি।
দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষ ছিল বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ধ্বংসস্তুপে এখনও জীবিতদের সন্ধান চলছে। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউকে জীবিত পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত