‘গ্রাম হবে শহর’ এ লক্ষ্যনিয়ে এগিয়ে যেতে চায় মোরশেদুল বারী

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪৩ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৬

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে পশ্চিমদিকে অবস্থিত ৩নং ভাটরা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ৫৪টি মৌজায় ৫৬টি গ্রাম রয়েছে। জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। নন্দীগ্রাম উপজেলার যে ইউনিয়নে বেশিরভাগ শিক্ষিত-সচেতন মানুষের বসবাস। সে ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া খুব কঠিন। আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চালানোও খুব কঠিন। ভাটরা ইউনিয়নের বৃকি  গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মন্ডলের বড় ছেলে মোরশেদুল বারী। তার পিতা জালাল উদ্দিন মন্ডল একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মোরশেদুল বারীর জন্ম ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি। ১৯৮৮ সালে তিনি এসএসসি পাস ও ১৯৯০ সালে এইচএসসি পাস করেন। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথমবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এরপর ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, ধর্মীয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের সেবামূলক কাজে ব্যাপক গুরুত্ব দেন তিনি। সমস্যা থাকলেও সমাধানের জন্য আগ্রহের কমতি নেই তার। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তাঘাটে তিনি দিয়েছেন সড়কবাতি। তাই এখন গ্রামীণ রাস্তাঘাট আলোকিত হয়েছে। কুমিড়া পন্ডিতপুকুর বাজারের বিভিন্ন বাসা-দোকানে বিশুদ্ধপানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। স্বচ্ছতার সহিত ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালিন ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিক্ষুক ভাতা ও হিজরা ভাতা প্রদানসহ সকল সেবামূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচিও সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। হতদরিদ্র মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএস’র চাল বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়। ভাটরা ইউনিয়নের ৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর দেওয়া হয়েছে। 

ইউনিয়নবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ইউনিয়নের জন্য মোরশেদুল বারী যোগ্য চেয়ারম্যান। এ জন্য ইউনিয়নবাসী তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো রয়েছে। এবারো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোরশেদুর বারী নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার লক্ষ্যনিয়ে মাঠে রয়েছে। তিনি জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু একমাত্র আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছি। ৫ বছর সফলভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছি। যথারীতিভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবামূলক কাজ করে আসছি। করোনাকালীন সময়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী ও অনুদান প্রদান করেছি। আমি ভাটরা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে চাই। তাই আশাকরি এবারো আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই নৌকা প্রতীক দিবে। নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ এ লক্ষ্যনিয়ে এগিয়ে যাবো। আমি আমার প্রিয় ভাটরা ইউনিয়নবাসীকে খুব ভালোবাসি। তাই তাদের কল্যাণে কাজ করতে আমার খুব ভালো লাগে। ইউনিয়নবাসী আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগিতা করে আসছে। আগামীতেও সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। আমিও ইউনিয়নবাসীর পাশে আছি এবং থাকবো। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত