গাংনীতে রেজাউল হত্যা মামলার ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড
প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:১২ | আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভিটাপাড়ায় রেজাউল হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম, মাহামুদ হাসান ওরফে রবিনহুড, আব্দুল জব্বার, বিল্লাল, হোসেন আলী ওরফে বোমা হোসেন এবং আব্দুল কাদের ওরফে সুমন নামের ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে হোসেন আলী পলাতক রয়েছেন।
রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম গাংনী থানা পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে, মাহামুদ হাসান ওরফে রিপন ওরফে রবিনহুড কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে, আব্দুল জব্বার গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের ফইমুদ্দীনের ছেলে, বিল্লাল হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে, হোসেন আলী ওরফে বোমা হোসেন মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে এবং আব্দুল কাদের ওরফে সুমন গাংনী বাজার পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল হক তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরু করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাতে বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর তৎকালীন কমিশনার আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩০০ গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পরে খবর পেয়ে গাংনী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরদিন তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুরে পাঠান। এ ঘটনায় রেজাউল হকের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪। জি আর নং ৫৯৭ /১১। ১২ আসামির মধ্যে ৪ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনীর র্যাব-৬ এর এস আই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এতে আসামি রফিকুল ইসলাম, মাহামুদ হাসান ওরফে রবিনহুড, আব্দুল জব্বার, বিল্লাল, হোসেন আলী ওরফে বোমা হোসেন, এবং আব্দুল কাদের ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের করে কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত হোসেন আলী পলাতক থাকায় সে আটকের দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে।
মামলার অপর আসামি আখতারুজ্জামান ওরফে বাবু, জিয়ারুল ইসলাম, মজনু, আবুল কালাম, খাজা এবং আবুল কালাম ওরফে শান্তর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদ এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং রমজান আলী কৌশলী ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত