গণপরিবহন বন্ধই থাকবে, রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৭ | আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপনে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জারি করা প্রজ্ঞাপনে যে ১৩ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, এবারও সেগুলো বহাল থাকবে। তবে নতুন করে প্রজ্ঞাপনে আরও ৬টি শক্ত যুক্ত করা হয়েছে। তবে সেখানে গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কোনও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি।
৬ শর্তের মধ্যে রয়েছে-
১. স্থল, নৌ ও বিমানযোগে যেকোনও ব্যক্তির ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে (পণ্য পরিবহন ব্যতীত) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শুধু ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বা মিশনের অনুমতি নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় দেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রবেশকারীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
২. দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩. আসন্ন ঈদুর ফিতরের নামাজের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম নিতে হবে।
৪. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগত টিকা নেয়ার সনদসহ এবং নন-কোভিড-১৯ সনদধারীদের নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
এসব দেশ থেকে আগতদের সংশ্লিষ্ট থানায় আগমন ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে জানাতে হবে।
৫. মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগত শুধু নন-কোভিড-১৯ সনদধারীরা সরকার নির্দেশিত কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় থাকবেন। ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চিকিৎসকেরা সম্মতি দিলে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। তবে এসময় সংশ্লিষ্ট থানায় আগমন ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জানাতে হবে।
৬. অন্যান্য দেশ থেকে আগতরা সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন পালন করবেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ৭ দিনের লকডাউন ১১ এপ্রিল শেষ হলেও ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু আগে মাঝের দুদিন ১২ ও ১৩ এপ্রিলও বিধিনিষেধ বলতৎ রাখা হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সারা দেশ ১৪-২১ এপ্রিল সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে ১৩টি বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে সেই বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আরও এক দফা বাড়িয়ে এবার সেটি ৫ মে পর্যন্ত করা হলো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত