ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে 'মিয়ানমার ঐক্য সরকার'

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ জুন ২০২১, ১১:৩৭ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬

সামরিক জান্তাকে উৎখাত করে ক্ষমতায় যেতে পারলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়া এবং তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের একটি ছায়া সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) তাদের সম্ভাব্য সংখ্যালঘুনীতি নিয়ে তিন পৃষ্ঠার এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে সামরিক জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রোহিঙ্গাদের সাহায্য প্রার্থনা করেছে এনইউজি।

পাশাপাশি, দেশটিতে বিদ্যমান ১৯৮২ সালের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে মিয়ানমারে জন্ম নেয়া সবাইকে বা বিশ্বের যেকোনো স্থানে জন্ম নেয়া বার্মিজ নাগরিকের সন্তানদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দানের অঙ্গীকার করেছে এনইউজি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে প্রাণ হারিয়েছেন আট শতাধিক মানুষ, বন্দি হয়েছেন কয়েক হাজার।

এ অবস্থায় জান্তাকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে একটি ছায়া সরকার গড়ে তোলেন মিয়ানমারের রাজনীতিবিদরা, যার বেশিরভাগ সদস্যই এনএলডির। জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) নাম দিয়ে এটিকেই মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেন তারা।

অবশ্য মিয়ানমার জান্তা এনইউজি’কে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ঘোষণা দিয়েছে। যার অর্থ, তাদের সঙ্গে যে কেউ আলাপ করলে বা যোগাযোগ রাখলেই বন্দি করা হতে পারে।

সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকাকালে সু চির গণতান্ত্রিক সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরাতে খুব একটা আন্তরিক ছিল না। কার্যত, তারা ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটিই ব্যবহার করত না, এদের ‘রাখাইনে বসবাসকারী মুসলিম’ বলে উল্লেখ করতেন সু চি সরকারের নেতারা।

তবে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে ওই নেতাদের একাংশের।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত