ক্লোন ডলি ও তার চার কন্যা 

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪০ |  আপডেট  : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯

মুজিব রহমান
---------------

প্রাপ্তবয়স্ক একটি মেয়ে ভেড়ার স্তনবাঁট থেকে কোষ সংগ্রহ করে ডিএনএর ক্লোনিং পদ্ধতিতে ১৯৯৬ সালে জন্ম দেওয়া হয় ডলিকে। সাত বছর বয়সে ২০০৩ সালে মারা যায় ডলি আর্থাটিস রোগে। এরপর মৃত ডলির দেহ ফ্রিজের ভেতর সংরক্ষণ করা হয় প্রায় সাড়ে তিন বছর। সেই মৃত দেহ থেকে কোষ নিয়ে আবারও জন্ম দেওয়া হয়েছে চারটি ভেড়ির। ডলিকে জন্ম দেওয়ার সময় বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল অধ্যাপক ক্যাম্বেল ও উলমাটকে। ওই গবেষণায় মোট ২৭৭টি ভ্রূণ উৎপাদনের পর কার্যকর হয়েছিল মাত্র একটি। আর দ্বিতীয় দফায় চারটি ভেড়ির প্রতিটির জন্য গড়ে প্রয়োজন পড়েছে মাত্র পাঁচটি ভ্রূণের। ডলিরা সুস্থ-স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়েছে। তারা চরে বেড়াচ্ছে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই একখন্ড জমিতে।

তার মানে মৃতের শরীর থেকেও কোষ নিয়ে প্রাণীর ক্লোন করা যাচ্ছে। এখন অনুমতি মিললেই সম্ভব মানব ক্লোনিং । এমনও হতে পারে, ক্লোন মানব শিশু ইতোমধ্যেই জন্ম নিয়েছে। ডলির সন্তানদের মতোই গোপন রাখা হচ্ছে। আর মৃত ব্যক্তির কোষ নিয়ে যদি তাকে ক্লোন করে আবারো ফিরিয়ে আনে, তবে সেটা চমকপ্রদ হবে।

এখন আরো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানিরা৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে৷ সম্প্রতি আমেরিকায় শূকরের কিডনি মানব দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে সফলভাবে৷ মানব শরীর যাতে শূকরের কিডনি প্রত্যাখ্যান না করে এজন্য শূকরের জিনে পরিবর্তনও আনে বিজ্ঞানিরা৷ একজন কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হওয়া নারীর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়ার আগে তার স্বজনদের কাছ থেকে শূকরের কিডনী প্রতিস্থাপনের অনুমতি চায় বিজ্ঞানিরা৷ যদি সম্পূর্ণ সফলতা আসে তবে তাও হবে এক যীগান্তকারী ঘটনা৷ আমেরিকাতেই অন্তত ৯০ হাজার রোগী রয়েছে যাদের কিডনি প্রতিস্থাপন দরকার৷

স্টীম সেল থেকে কারখানাতেই এখন মাংস উৎপাদন হচ্ছে৷ এই খাদ্যও হয়েছে পুষ্টিগুণসম্পন্ন৷ ভবিষ্যতে মানুষ ঘরেই হয়তো মাংস উৎপাদন করে নিতে পারবে কোন মেশিন থেকে৷ প্রাণি হত্যারও প্রয়োজন পড়বে না৷ সিংগাপুরে এ খাদ্য এখন অনুমোদিত৷


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত