কুমারভোগে নৌকার মাঝি হতে চান খান নজরুল ইসলাম হান্নান

  মুজিব রহমান

প্রকাশ: ৭ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৪ |  আপডেট  : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১০

উদীয়মান ব্যবসায়ী ও সংগঠক খান নজরুল ইসলাম হান্নান মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদ হতে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে চান। 

একজন উদার মনের ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিতি হান্নান খান দীর্ঘদিন  ধরেই সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। তার সমাজসেবা কাজের ব্যাপ্তি রয়েছে পুরো জেলা জুড়েই।  

খান নজরুল ইসলাম হান্নান লৌহজংয়ের কুমারভোগে একটি রাজনৈতিক পরিবারে  ১৯৬৪ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোঃ দরবেশ আলী খান ও মায়ের নাম মোসাঃ মনোয়ারা বেগম। 

মোঃ দরবেশ আলী খান

পিতা মোঃ দরবেশ আলী খান লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুমারভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি  স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক হিসেবে ভূমিকা রাখেন। 

খান নজরুল ইসলাম হান্নান এর বাবা প্রয়াত দরবেশ আলী খান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে কোরবান আলীর সাথে কাজ করেছেন। কোরবান আলীর মাধ্যমেই রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি । স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে কফিল উদ্দিন চৌধুরী, শাহ মোজ্জেম হোসেন, এম.এ.জি ওসমানী, ডঃ কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম খান( বাদল ), এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম খাঁন সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সকল প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন করেছেন।

দরবেশ আলী খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সহ বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে কুমারভোগ ইউনিয়ন তথা লৌহজং থানার স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক হিসেবে তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন। 

ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভায় খান নজরুল ইসলাম হান্নান এর বড় ভাই নূর মোহাম্মদ খান

খান নজরুল ইসলাম হান্নান এর বড় ভাই নূর মোহাম্মদ খান কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকার ৩৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক  ছিলেন। ‘৮৪ সনে তিনি লৌহজং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে নুর মোহাম্মদ খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লৌহজং উপজেলার সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। 

হান্নান খানের ছোট ভাই আবুল বাসার খান এবং চাচাতো ভাইদের মধ্যে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, মো. জহিরুল ইসলাম খান, মো. গিয়াস উদ্দিন খান, মো. আরিফ হোসেন খান ও মো. দিদার খান বিভিন্ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। চাচাদের মধ্যে মো. লোকমান হোসেন খান, মো. সেরাজল হক খান ও মো. মফিজুল ইসলাম খানও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

খান নজরুল ইসলাম হান্নান নিজেও ‘৭৫  উত্তর  ছাত্রলীগের লৌহজং থানার সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া তিনি ছাত্র জীবনে কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি লৌহজং উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

হান্নান খান বিভিন্ন সংগঠন ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি অননাইন নিউজ পোর্টাল গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি। এছাড়া সহযোদ্ধা একাত্তর এর কেন্দ্রীয় পর্ষদ, মানবাধিকার কমিশন লৌহজং শাখা এবং চাঁদের হাসি ফাউন্ডেশন লৌহজং –তিনটি সংগঠনেরই সভাপতি। এছাড়াও শিমূলিয়া তথা কুমারভোগ ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভাওয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং মৌছা বাইতুর নূর জামে মসজিদের সভাপতি পদেও রয়েছেন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র-অবারিত বাংলার নির্বাহী পরিচালক, বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের পরিচালক, হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  এবং ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর এর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড,  শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। 

খান নজরুল ইসলাম হান্নান দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। সহধর্মিনী খান রেশমা আক্তারকে নিয়ে তাঁর সুখী পরিবার। কুমারভোগের মানুষকেও তিনি সুখী দেখতে চায়। নিজের সমাজসেবা কাজের ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্যই চেয়ারম্যান হতে চান। কুমারভোগকে একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য। তার মত সজ্জনেরা যদি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করার সুযোগ পায়, গ্রাম-ইউনিয়ন-উপজেলা তথা দেশের জন্য অবশ্যই মঙ্গল।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত