বাম্পার ফলনের আশা

কাউনিয়ায় তিস্তার ধু-ধু বালু চরে সবুজের সমারোহ  

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৪০ |  আপডেট  : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিযনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে বালু ও দোআঁশ মাটির চর। ওই জেগে উঠা ধু-ধু বালু চরে নানান জাতের চাষাবাদ করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পুরো চরেই এখন বিভিন্ন ফসলের সবুজের সমারোহ। 

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা সেতু এলাকা, তালুতশাহবাজ, চরগনাই চর সহ বিভিন্ন চর ঘুরে দেখাগেছে প্রতিটি চরে চলছে বিভিন্ন ফসলের চাষ। কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত চরে কাজ করছে কৃষক কৃষানী। তিস্তা চরের বালু মাটি যেন সাদা সোনায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ও নদী ভিত্তিক জীবিকা নির্বাহকারীরা চরা লের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক আলোর মুখ দেখছে। আমন মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে তিস্তা পারের বাসিন্দারা তাদের প্রাণে নতুন করে স্পন্দন ফিরে পেয়েছে। 

উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা, আরাজি হরিশ্বর, গদাই চর, পাঞ্জরভাঙ্গা, তালুকশাহবাজ, ঢুসমারা চর, টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরনশর্মা, গানাই, চরগনাই, বিশ্বনাথ চর, আজমখাঁ চর, হয়বতখাঁ চর, শহীদদবাগ ইউনিয়নের প্রাননাথচর, হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ চর সহ বিভিন্ন চরে গিয়ে দেখা গেছে,খরস্রোতা তিস্তার জেগে ওঠা ধু-ধু বালু চরে শুধুই সবুজের সমারোহ। চরের পলি ও দোআঁশ মাটিতে চাষ হচ্ছে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, মিষ্টি কুমড়াসহ নানান জাতের ফসল। কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল পরিচর্যায়। তিস্তা সেতু এলাকায় চরের খেতে পরিচর্যা করা কৃষক সাইদুর, রহমত আলী জানান, চরে আলু, পিয়াজ ভুট্টা, মরিচ, লাউ চাষ করেছি। ফলনও ভাল হয়েছে আশা করছি দামও ভাল পাব। 

তালুকশাহবাজ চরের কুশড়া চাষি স্বাধীন, আনোয়ার জানায় গত বছর করোনার কারনে মিষ্টি কুমড়ার দাম পাইনি, এবার আশা করছি ভাল দাম পাওয়ার। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে। এই তিস্তা চরে আবাদ করে আমাদের নদীপারের মানুষের সংসার চলে। চাষাবাদের জন্য তেমন কোন জমি নাই, প্রতিবছর নদীতে চর জাগলে চাষাবাদ করি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, এ উপজেলায় চরা লের প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চরের কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে ও উপজেলা পরিষদ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভালো হবে। তিস্তার নদীর জেগে উঠা চরকে ঘিরে চরা লের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার ছুলেছে। চলতি মৌসুমে তারা বাম্পার ফলনের ও ভাল দাম পাওয়ার আশা করছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত