কাউনিয়ায় টেপামধুপুর হাটে যাওয়ার রাস্তার সমাধান কবে হবে ?

কাউনিয়ার প্রাণকেন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে জনগুরুত্বপূর্ন সর্বচ্চ রাজস্ব আয়ের টেপামধুপর হাটে যাওয়ার রাস্তায় দীর্ঘদিন পানি নিস্কাশন ও সংস্কার না হওয়ায় প্রতিনিয়িত ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারন দাবী করে আসলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে মোড় থেকে টেপামধুপুর যাওয়ার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে একদিকে যেমন জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি পায় অন্য দিকে রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দেও সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে মোড় থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ন ভেঙ্গে গিয়ে যানচলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বিগত বছর গুলোতে পানি নিস্কাশনের জন্য একটি ড্রেন নির্মান করার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত তার কোন বাস্তবায়ন নাই। ফলে পানি জমে রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারন করেছে। রাস্তাটিতে ড্রেন না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যায়। উপজেলার সর্বচ্চ রাজস্ব আয়ের জনগুরুত্বপূর্ণ টেমামধুপুর হাটে যাওয়ার এ রাস্তা দিয়ে কৃষি ব্যাংকসহ ২টি বেসরকারী ব্যাংক, ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ, টেপামধুটুর ইউনিয়ন পরিষদ, ঈদগা মাঠ ও কালির হাট যেতে হয়। বালিকা বিদ্যালয় মোড়ের ব্যবসায়ী সোহরাব , আব্দুল ওহাব জানান ভাঙ্গা রাস্তা ও বৃষ্টির দিনে রাস্তায় পানি জমার কারনে গ্রাহক এই রাস্তাদিয়ে আসতে চায় না ফলে ব্যবসা মন্দা যায়। রিক্সা চালক ফনি চন্দ্র, আমিনুল জানান রাস্তাটিতে বর্ষায় পানি জমে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেশ কয়েকজনের রিক্সা ভ্যান ভাঙ্গা সহ প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। 

টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, বালিকা বিদ্যালয় মোড় থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারনে ঐতিহ্যবাহি এবং উপজেলার সর্বচ্চ রাজস্ব আয়ের টেপামধুপর হাট দিন দিন ঐতিহ্য হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হাট থেকে রাজস্ব কমে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মনুশি মহদয়ের সাথে কখা বলে রাস্তার পানি নিস্কাশনে ড্রেন নির্মান ও সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। এছারা বরাদ্দ পেলে ড্রেন নির্মানের পর রাস্তার কাজ হবে। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, রাস্তা সংস্কার ও পানি নিস্কাশনে ড্রেনের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কে বলেছি। আশা করছি খুব দ্রæত সমস্যার সমাধান হবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির সংস্কার ও পানি দ্রæত নিস্কাশন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী।