বাণিজ্যমন্ত্রী দৃষ্টি প্রয়োজন

কাউনিয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় ৮ গ্রামের মানুষের যাতায়াত

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫:২১ |  আপডেট  : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫

বর্তমান সরকারের সময় দেশে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের কিছুটা কাউনিয়ায় লাগলেও আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। উন্নয়নের সাথে বৃদ্ধি পায়নি কর্সংস্থান। কাউনিয়ায় কৃষি দেশের অর্থনীতি সচল রাখলেও চরা লের কৃষকের উৎপাদিত পন্য সড়ক যোগাযোগের কারনে সরাসরি বিক্রয়ের ব্যবস্থা অনেকাংশে মুখথুবরে পরেছে। ফলে অধিকাংকাংশ চরা লের যোগাযোগের রাস্তায় নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পরাপার হতে হয়। তাই অনেকে রশিকতা করে বলে এটি কাউনিয়ায় উন্নয়নের মহাসড়ক।

কাউনিয়ার প্রাননাথ চর গ্রামে খলিলের ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর উপর স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শি¶ার্থী সহ ৮ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। ভোটের আগে চেয়ারম্যান, এমপি পাকা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও নির্মাণ হয়নি ব্রীজ টি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছে যাতায়াত। শষ্য ভান্ডার খ্যাত এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহনে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। 

ফসলের ন্যায্য মূল্যে থেকে বি ত হচ্ছে তারা। চীনের দুঃখ হোয়াং হো আর এ কাউনিয়ায় চরা লের ৮ গ্রামের মানুষের দুঃখ মরা তিস্তার এ শাখা নদীটি। হারাগাছ ইউনিয়ন ও শহীদবাগ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে তিস্তা সতী নদীটি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই এলাকা বাসীর ভরসা, আর শুকনা মৌসুমে নদীর বুক চিরে পায়ে হেটে চলাচল। হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে খলিলের ঘাট নামক স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী এলাকা বাসীর। ওই স্থানে সেতু না থাকায় চড় নাজিরদহ, পল্লীমারী, চাংরা, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, পাগলার হাট, দয়াল বাজার, বুদ্ধির বাজার, মাষ্টার বাজার, প্রাননাথ চর ও সাব্দী গ্রামের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থী সহ প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়ত করে। ওই এলাকা গুলো শষ্য ভান্ডার হিসেবে বেশ পরিচিত। এ গ্রাম গুলোতে আলু, ভুট্রা, ধান, পাট, রসুন, মরিচ, পিঁয়াজ, বাদাম, খিরা, শষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব কৃষি পণ্য হাট বাজারে নিতে হলে প্রায় ১০ কিঃমিঃ রাস্তা ঘুরে তকিপল হাট,৭ কিঃমিঃ ঘুরে খানসামা হাট ও ১২ কিঃমিঃ ঘুরে মীরবাগ হাটে যেতে হয়। অথচ খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে। সেই সাথে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য। ওই এলাকার মানুষ নৌকায় পারাপারে দূর্ভোগ কমাতে গত বর্ষায় স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ উত্তোলন করে একটি বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল শুরু করে। সে সাঁকোটির এখন নরবড়ে অবস্থা। 

চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মঈনুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন জানায়, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে এ কথা বহুদিন ধরে শুনে আসছি, কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের কোন আলামত দৃর্শ্যমান নয়। এ ছাড়াও হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে ব্রীজ নির্মাণের স্থান টি হওয়ায় দুই চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে ব্রীজ নির্মাণের উদ্দ্যোগ বার বার ভেস্তে যাচ্ছে। 

হারাগাছ ইউপি চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পলাশ বলেন সেতু নির্মাণের বিষয়টি অনেকবার সমন্বয় সভায় বলেছি। শহীদবাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ হান্নান বলেন সেতু নির্মাণের বিষয় মন্ত্রী মহদয়কে বলেছি। 

উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি বলেন মন্ত্রী মহদয়ের সুপারিশ নিয়ে পাকা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পঠানো হয়েছে বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত