করোনাকালে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালুর দাবি নজরুল ইসলামের  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ মে ২০২১, ১৫:৩৩ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮

করোনা ভাইরাস মহামারি চলাকালে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালুর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (০১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান।

নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের দাবি করেছিলাম। এটা নতুন কোনো দাবি নয়, বৃটিশ আমল থেকে আছে। আমরা নিজেরা যেসব কারখানায় চাকরি করেছি সেসব কারখানায় রেশনিং শপ ছিলো, ন্যায্যমূল্যে দোকান ছিলো। সব সময় যদি নাও হয়, করোনার মতো দুযোর্গকালে শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান করা উচিত। যাতে করে তারা তাদের সীমিত আয়ের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি শ্রমিক-কর্মচারি ঐক্য পরিষদ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ‍উদ্যোগ গ্রহণ করবে। শ্রমিক-কর্মচারি ঐক্য পরিষদে আমরা সবাই আছি, আমরা শ্রমিক দল আছি, জাতীয় শ্রমিক লীগ আছে, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র-বহু সংগঠন আছে। আমরা সবাই মিলে একই দাবিতে আন্দোলন করতে পারি, আমরা অতীতে করেছি।

তিনি বলেন, মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এ সময়ে মানুষ অনেক কষ্টে আছে। শ্রমিকরা কষ্টে আছে। বিভিন্ন পেশার মানুষ কষ্টে আছে। এ সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বলছি না। আমরা বলছি, এই কোভিডেও সবার প্রতি সমান আচরণ, সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, রাষ্ট্রকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ন্যায্য মজুরির দাবি, সময়মতো মজুরির দাবিতে, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এবং রমজানের মধ্যে একটু সময় কমানোর দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের শ্রমিকদের জীবন দিতে হচ্ছে। এটা আমাদের প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্যও নয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা সম্প্রতি দেখলাম যে, ব্যাংকগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোভিডে মারা গেলে একটা পরিমাণ নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে তারা ক্ষতিপূরণ পাবে। আমরা খুশি হয়েছি যে অন্তত একটা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের একটা আইন, একটা নিয়ম করা হয়েছে। কিন্তু যারা মূল উৎপাদনশীল শ্রমিক, যারা বেশি পরিশ্রম করে, যারা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখে সেসব শ্রমজীবী মানুষের জন্য একই নিয়ম হবে না কেনো? কেনো সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য একই নিয়ম হবে না, কেনো আমার পুলিশ ভাইদের জন্য একই নিয়ম হবে না।  কেউ যদি ৫০ লাখ টাকা পায়, ২৫ লাখ টাকা পায় কোভিডে মারা গেলে, অন্যরা কেনো কম পাবে কিংবা পাবে না। স্বাধীন রাষ্ট্রে এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম থাকবে কেনো? বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, এই  প্রতিষ্ঠান যদি তার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যা উচিত মনে করে, রাষ্ট্র সারাদেশের শ্রমিকদের জন্য তা উচিত মনে করবে না কেনো?  

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মিয়া মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, সুমন ভুঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত