কদর্থনা- মোজাম্মেল হক 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৫ |  আপডেট  : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫১

র্বশী ,আমার আত্মজা। বাবা অন্ত প্রাণ এই মেয়েটি একটু বেশিই আহ্লাদী। কৃত্রিম শৈত্যতায় বিড়াল ছানার মত বাবার বুকে লেপ্টে আছে। 

ছুটির দিনে বাবা-মেয়ের এই উম -উম ভাবটা ক্ষণিকের তরে উবে যায়, উর্বশীর মায়ের ধ্রুপদী ভৎসনায় । লাশ্যময়ী অর্ধাঙ্গিনী তেতিয়ে উঠে বলে -“বাবা মেয়ের ঢং দেখে আর বাঁচি না। শুনি বেলা কত হল ? আজ দুই দিন হল কাজের বুয়া আসে না। নিজের মুখ পুইড়া খাবার বানাইছি। বাবা -মেয়ে উদরস্ত করে আমাকে উদ্ধার কর।”

মুহূর্তের মধ্যেই মনাকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। তাহলে কি এতদিন কাজের বুয়ার মুখ পুইড়া ,,,,,,, এই খয়রাতি জীবন ! 

চোখ ঝাপসা হয়ে আসে! মায়ের পোড়া মুখটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে "খোকা ভালো থাকিস" । অস্ফুট স্বর বেরিয়ে আসে "মাগো তোমার খোকাকে ক্ষমা করে দিও"।

লেখক : মোজাম্মেল হক 
                   (অধ্যক্ষ, সরকারি লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ)

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত