কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি: শেষ কর্মদিবসে সিইসি

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:২৫ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৭

শুরু থেকে নানা বিতর্ক থাকলেও বিদায় বেলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ‘অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন’ বলে দাবি করেছেন।

নিজেদের মেয়াদকালে কমিশন সংসদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ছয় হাজার ৬৯০টি নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বলেও জানিয়েছেন সিইসি। সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের লেকভিউ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নিজেদের মেয়াদকালে রুটিন কাজের বাইরেও কমিশন বেশ কিছু কাজ শুরু করেছে বলে জানান সিইসি।

বিদায়ী সিইসি আরও বলেন, ‘দেখতে দেখতে নির্বাচন কমিশনে আমাদের পাঁচ বছর কেটে গেল। আজ আমাদের শেষ কর্মদিবস। দীর্ঘ পাঁচ বছর আমরা নির্বাচন কমিশনে ব্যস্ততম সময় পার করেছি। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং তা সফলভাবে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্বসহ যাবতীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি। ’

কে এম নুরল হূদা বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদ, জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন এবং সকল স্থানীয় সরকার পরিষদের সাধারণ ও উপনির্বাচনসহ ছয় হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছে। করোনা মহামারির কারণে কিছু নির্বাচন সময়মতো করতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।’

সিইসি জানান, গেল পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন একটি, একাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন ৩০০ আসন, জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন ২৯টি, উপজেলা পরিষদে সাধারণ নির্বাচন ৪৯৩টি, বিভিন্ন শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ৮২টি, সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন ১২টি, সিটি করপোরেশনসমূহের শূন্য পদে নির্বাচন ১৮টি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন ৩০৯টি, পৌরসভার বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন ৯২টি, ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন চার হাজার ১৩৬টি, ইউনিয়ন পরিষদে শূন্য পদে উপ-নির্বাচন এক হাজার ১৫৩টি এবং জেলা পরিষদের বিভিন্ন শূন্য পদে নির্বাচন ৬৫টি।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, 'নির্বাচনের যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছিল, কঠোর পরিশ্রম করে আমরা সেসব দায়িত্ব সম্পন্ন করেছি। এর মধ্যে কোথাও কোথাও আমাদের ভুলত্রুটি হতে পারে, কোথাও কোথাও কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে। পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকতার এবং চলমান... কোথাও কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেছে এবং অনেকের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব কিছুর মধ্যেও এ নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা নির্বাচন পরিত্যাগ করিনি, নির্বাচন সম্পন্ন করেছি।'

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জমান উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জেলা পরিষদের কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী আজই বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নতুন কমিশন গঠনের জন্য কাজ করছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিগত পর্যায় ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩২৯ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরবর্তীতে প্রস্তাবিত নাম থেকে বাছাই করে ১০টি নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে সার্চ কমিটি৷ সেখান থেকে পাঁচজনের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত